বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রচণ্ড গরমে আয় কমেছে শ্রমিকের, ট্রাক লোড-আনলোডে ধীর গতি

বুড়িমারী স্থলবন্দরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন শ্রমিকরা | ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

প্রচণ্ড গরমে একটানা কাজ করতে পারছেন না লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকরা। ফলে ট্রাক লোড-আানলোডে যেমন ধীর গতি দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে কমেছে তাদের আয়।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক মনজুর ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২ সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড গরম। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের বেশি একটানা কাজ করা যায় না।'

আরেক শ্রমিক মিয়া বাবু বলেন, 'আগে ২০ জন শ্রমিক ৩ ঘণ্টায় একটি ট্রাকের পণ্য আনলোড করতাম। এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। গরমে এই কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।'

বুড়িমারী স্থলবন্দরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন শ্রমিকরা | ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

একটানা কাজ করতে না পারায় আয় কমেছে শ্রমিকদের। স্থলবন্দরের শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'অন্যান্য সময় সারা দিন কাজ করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করতাম। এখন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।'

ট্রাকচালক সিরাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গরমের কারণে শ্রমিকরা সেভাবে কাজ করতে পারছেন না। যথাসময় ট্রাকের পণ্য লোড হচ্ছে না। তাই আমাদেরও সময় অপচয় হচ্ছে। বন্দরে বেশি সময় বসে থাকতে হচ্ছে।'

বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক সেকেন্দার আলী বলেন, 'গরমের কারণে শ্রমিকরা লাগাতার কাজ করতে না পারায় ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করতে অধিক সময় চলে যাচ্ছে। ট্রাকে পণ্য লোড করতেও তুলনামূলক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। সময় মতো পণ্য সরবরাহ করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।'

'গত বছরের তুলনায় এবার বেশি গরম পড়েছে। শ্রমিকরা লাগাতার কাজ করতে না পারায় লোড-আনলোড বিলম্ব হচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও বিরক্ত হচ্ছেন কিন্তু গরম উপক্ষো করেই শ্রমিকরা কাজ করছেন। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের আয়ও কমে গেছে,' বলেন স্থলবন্দরের লোড-আনলোড শ্রমিক নেতা সফর উদ্দিন।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago