আসছে বোরো মৌসুমে দেড় লাখ টন সার আমদানির অনুমোদন

সার আমদানি
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বোরো মৌসুমে সরকার ইউরিয়া ও অন্যান্য সার আমদানিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেড় লাখ টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ নিয়ে আগস্টের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউরিয়াসহ মোট সাত লাখ ৬০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিলো অন্তর্বর্তী সরকার।

গত অর্থবছরে দেশে ৫৭ দশমিক সাত লাখ টন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় দুই দশমিক তিন শতাংশ বেশি। মোট সারের ৪৬ শতাংশই ইউরিয়া।

চলতি অর্থবছরে ৫২ লাখ টন সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ইউরিয়া আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ লাখ টন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত সার আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ লাখ টন।

বোরো আবাদের মৌসুম সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। সে সময়ে সারের চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ টন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'আমদানি ও স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করা হবে।'

গতকাল অনুমোদিত দেড় লাখ টনের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড টনপ্রতি ৬১৩ দশমিক ২৫ ডলার দামে ৪০ হাজার টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সরবরাহ করবে।

অপর প্রতিষ্ঠান মরক্কোর ওসিপি এসএ টনপ্রতি ৫৯৮ দশমিক ৫০ ডলার দরে ৪০ হাজার টন ডিএপি সরবরাহ করবে।

সৌদি প্রতিষ্ঠান মাদেন টনপ্রতি ৬০৬ ডলার দরে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার সরবরাহ করবে।

এ ছাড়াও, সৌদি আরব থেকে টনপ্রতি ৩৫৯ দশমিক ৩৩ ডলার দরে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। দেশটির সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি এ সার সরবরাহ করবে।

এর পাশাপাশি, ক্রয় কমিটি স্থানীয় সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা ৯০ পয়সায় আমদানির অনুমোদন দেয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা। এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body being taken to Manik Mia Avenue for janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

2h ago

Farewell

10h ago