বাংলাদেশের জন্য বিদেশি বিনিয়োগের বিকল্প নেই: লুৎফে সিদ্দিকী

‘ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা: এফডিআই, আর্থিক খাত সংস্কার ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন লুৎফে সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে এখন বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (এফডিআই) বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা লুৎফে সিদ্দিকী।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'এফডিআই দেশের ওপর বাড়তে থাকা আর্থিক চাপ মোকাবিলায় ও অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপানোর ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়াতে একপ্রকার "গাণিতিক প্রয়োজন" হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিল 'ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা: এফডিআই, আর্থিক খাত সংস্কার ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন' শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এফডিআই না বাড়ার কারণ বা আর্থিক খাতে আর কী করা প্রয়োজন, এসব বিষয়ে যেসব ব্যাখ্যা বা অজুহাত দেওয়া হয়, অনেকটাই সেগুলো 'মূল কারণ নয়, বরং উপসর্গ মাত্র'।

তিনি বলেন, 'সরকারের বাজেট ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশ এখন সুদ পরিশোধে যাচ্ছে। এনবিআরের মোট রাজস্বের ২১ শতাংশ সুদ খাতে ব্যয় হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৪ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে।'

লুৎফে সিদ্দিকী আরও বলেন, অদক্ষতা, দুর্নীতি এবং উচ্চ লজিস্টিক ব্যয় দেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে, ফলে দেশি-বিদেশি ও বিনিয়োগকারী দু'পক্ষই নিরুৎসাহিত হচ্ছে। বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বাড়তে থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই নিরাপদ ও স্থিতিশীল অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে থাকে।

এলডিসি উত্তরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পরিবর্তন বৈশ্বিক মানদণ্ডে পরিমাপযোগ্য সূচকের ভিত্তিতেই হয়েছে। এটি কোনো অনুগ্রহ নয়। এখন আর সময় চাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি দেশব্যাপী দীর্ঘদিনের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি, অপ্রয়োজনীয় কর ছাড় পুনর্বিবেচনা এবং কর, ভ্যাট, কাস্টমস, ব্যাংকিং ও বাণিজ্য ডাটাবেস একীভূত করার মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধের ওপর জোর দেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মোনিরুজ্জামান ভিডিও বার্তায় যুক্ত হয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং লজিস্টিক ব্যয় কমানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

এর আগে সম্মেলনের সভাপতি কাজী মেরাজ উদ্দিন উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সেভেন রিংস সিমেন্ট গ্রুপের সিএফও মো. কাওসার আলম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শহরাব উদ্দিন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন আইসিএমএবি চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

Crowds spilled over into surrounding areas, with large gatherings seen in Farmgate, Karwan Bazar and nearby localities

2h ago