আজ রাতেই ওটিটিতে ‘জয়া আর শারমিন’

চলতি বছরের মে মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল 'জয়া আর শারমিন'। তবে আজ রাত ১২টা থেকে থেকে সিনেমাটি ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে দেখা যাবে।

জয়া আহসান বলেন, 'এই সিনেমাটা বা এ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা অন্য কাজের সঙ্গে মেলাই না বা মেলানো যায় না। আমি এই সিনেমার শুটিং শেষ করে বাসায় যেতাম না। কারণ বাসায় মা থাকতেন। দায়িত্বশীলতা থেকেই এটা করতাম আমরা।'

'আমার অন্যান্য কাজে ফিল্ম ইউনিটটা একটু বড় হয়। কিন্তু এই শুটিংয়ে তেমন কিছুই ছিল না। যে কয়জন না হলেই না, তাদের নিয়েই কাজটি করা হয়েছে। ক্যামেরা যে চলছে সেটা মাঝে মাঝে বোঝাই যেত না। সিনেমায় যে ড্রেসগুলো পরতাম, সেগুলো নিজেরাই ধুতাম, রোদে শুকিয়ে আয়রন করতাম। পরার আগে এতবার আয়রন করা হতো, মনে হতো যেন কাপড়গুলো পুড়েই যাবে। জার্ম যেন না থাকে সেজন্য আমরা ওগুলো করতাম,' বলেন তিনি।

জয়ার ভাষ্য, 'প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় যারা দেখেছেন, তারা তো বলেছেন এটা রিয়েল একটা সিনেমা। করোনা মহামারির সময় রিয়েলাইজেশন তো অনেকরকম হয়। কিন্তু আবার আমরা মানুষরা আগের মতো হয়ে যাই। প্রকৃতি শিক্ষা দিয়েছে কিন্তু সেটা কাজে লাগাচ্ছি না। আমরা আবার আগের মতো হয়ে গেছি।'

মহসিনা আক্তার বলেন, 'অভিনয়ের ক্ষেত্রে পিপলু ভাই (পিপলু আর খান) যে স্বাধীনতাটা দিয়েছেন, সেটা খুব কম পরিচালকই পারেন। আমাকে যতটুকু বলা হতো, ততটুকুই করতাম শুরুর দিকে। কিন্তু আমার ইচ্ছা হতো ইম্প্রাভাইজ করার। কয়েকবার ইম্প্রোভাইজ করার পর পরিচালক যখন বললেন, সব ঠিক আছে তখন আমি নিশ্চিত হলাম।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই সময় খুব ভালোভাবে অনুধাবন করেছি প্রকৃতির কাছে আমরা খুব তুচ্ছ। একটা বড় বোধ হয়েছে, জীবনের চেয়ে বড় কিছু নেই, আবার জীবনের চেয়ে অসহায়ও কিছু নাই। আমাদের অনেক বেশি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিৎ। পারিবারিক বন্ধন, মানুষকে সময় দেওয়া, সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।'

সিনেমাটির অতিথি চরিত্রে আছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম মাটি।

Comments

The Daily Star  | English

The unhealed wounds of 1971: Bangladesh's unfinished liberation

The 1971 Bangladesh Liberation War was not merely a military conflict; it was a civilisational rupture that tore through the social fabric of an entire nation, leaving scars that have never properly healed.

2h ago