মৌসুমী ভীষণ অভিমানী মানুষ: ফেরদৌস

মৌসুমী ও ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

প্রিয়দর্শিনী নায়িকা মৌসুমীক 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' করার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একটিমাত্র সিনেমা দিয়েই কোটি মানুষের মন জয় করেছেন। তারপর আরও অনেক সিনেমা করেছেন, নায়িকা হিসেবে শীর্ষ অবস্থানেও পৌঁছেছেন।

দর্শকনন্দিত নায়িকা মৌসুমীর জন্মদিন আজ ৩ নভেম্বর।

জন্মদিনে মৌসুমীকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার সহশিল্পী, বন্ধু এবং তার অসংখ্য সিনেমার নায়ক ফেরদৌস।

ফেরদৌস বলেন, 'মৌসুমী আমার ভীষণ প্রিয় একজন মানুষ। ব্যাখ্যা দিয়ে কিংবা বলে তা বোঝানো সম্ভব না। অনেক বছরের সম্পর্ক আমাদের। তাকে বলা হয় প্রিয়দর্শিনী নায়িকা। সত্যিই তিনি প্রিয়দর্শিনী। অনেক সৌভাগ্যবতী একজন মানুষ তিনি। কারণ প্রথম সিনেমা করেই সুপারডুপার হিট হয়েছেন, যা এখনও মানুষ মনে রেখেছে।

মৌসুমী আমার প্রিয় নায়িকা এবং প্রিয় বন্ধু। আমি সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছি মৌসুমী ও শাবনূরের বিপরীতে। তার মধ্যে এগিয়ে আছেন মৌসুমী। ফেরদৌস-মৌসুমী খুব সুন্দর একটা জুটি গড়ে উঠেছিল। দর্শকরা জুটিটা গ্রহণ করেছিলেন ভালোভাবে। মৌসুমী ও আমার অনেক হিট সিনেমা আছে। দর্শকরা লুফে নিয়েছে সেগুলো। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে খায়রুন সুন্দরী।

মৌসুমী তিনটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। তিনটি সিনেমায় নায়ক হিসেবে আমি ছিলাম। আবার আমার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা এক কাপ চা, সেখানেও মৌসুমী অভিনয় করেছেন। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। সিনেমার বাইরে আমরা ভালো বন্ধু। তা ছাড়া পারিবারিকভাবেও আমরা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছি।

মৌসুমী ও ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো সম্পর্কের ভাঙন ধরেনি, এখনও সম্পর্ক অটুট আছে। সারাজীবন এটা থাকবে। সবসময় মৌসুমীর জন্য এবং তার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা জানাই। জন্মদিনে তার জন্য ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা । এই দিনটি বহু বছর ফিরে আসুক তার জীবনে।

অভিনয় জীবনে তার সঙ্গে টুকটাক মান-অভিমান যে হয়নি তা কিন্তু নয়। মৌসুমী ভীষণ অভিমানী মানুষ। একটা অভিমানের গল্প বলি। গল্পটা হচ্ছে, একবার মৌসুমীর পরিচালনায় শুটিং করছি। বেশ আগে সেটা, হোতাপাড়ায় ‍‍শুটিং। সকাল ১১টায় শুটিং কল ছিল। আমি দুই ঘণ্টা পর গেছি। ওই সময় শুটিং নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। একদিনে একাধিক সিনেমার শুটিং করতে হয়েছে।

হোতাপাড়ায় যাওয়ার পথে আশুলিয়ায় একটি সিনেমার কিছু দৃশ্য করে যাই। তখন তো ফেসবুক ছিল না। কিন্ত এই খবর মৌসুমীর কাছে পৌঁছে যায়। আমি হোতাপাড়া যাওয়ার পর মৌসুমী কথা বলেন না। আমি তো অবাক! পরে ওমর সানী ভাই বললেন, তুমি যে আসার পথে শুটিং করে এসেছ এটা মৌসুমী জেনে গেছে। আমি কিছু না বলে মৌসুমীর অভিমান ভাঙাতে চেষ্টা করি।

মৌসুমী। স্টার ফাইল ছবি

মৌসুমী বললেন, ''দুই ঘন্টা পর আসবা এটা বলতেই পারতে! আমিও দেরি করে আসতাম!'' তারপর অভিমান ভাঙে এবং শুটিং করি।

অভিনেত্রী হিসেবে মৌসুমী ভীষণ সিরিয়াস। সিনেমার প্রতি ওর ভালোবাসা অনেক। সততা ও ভালোবাসা দিয়ে শুটিং করেছেন বলেই আজ এতদূর আসতে পেরেছেন। পরিচালক হিসেবেও মেধাবী।

কেয়ামত থেকে কেয়ামত দেখার পর থেকেই মৌসুমী আমার প্রিয় একজন নায়িকা। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি একদিন নায়ক হব। তারপর তো তার সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ আসে। সবশেষে বলতে চাই, সৌসুমী একজন সৌভাগ্যবতী নায়িকা।'

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

2h ago