জীবদ্দশায় আজম খান এই পুরস্কার পেলে খুশি হতেন: ফেরদৌস ওয়াহিদ

ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন পপসম্রাট আজম খান। সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। সবাই প্রশংসা করছেন গুণী এই শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধাকে এমন পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

খবরটি শুনে বেশ আনন্দিত আজম খানের বন্ধু সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদও। ভীষণ খুশি তিনি। মুঠোফোনে এমন খবর জানাতেই দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, আজম খান আমার প্রাণের বন্ধু। জানের দোস্ত। আজম খান স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আরও আগেই তিনি এই পুরস্কার পেতে পারতেন।

'আজম খান জীবদ্দশায় এই পুরস্কার পেলে খুশি হতেন। আমরা বন্ধুরাও খুশি হতাম। সত্যি আমার খুব ভালো লাগছে। মনটা ভরে গেছে। আমার বন্ধু আজম খানের জন্য গর্ব হচ্ছে। দেরিতে হলেও তো পাচ্ছেন। আজ আমি অনেক খুশি।'

ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও বলেন, আজম খান শুধু নন্দিত গায়ক ছিলেন না, একজন মুক্তিযোদ্ধাও তিনি। দেশের জন্য বড় অবদান রেখে গেছেন। তাকে সম্মানিত করা হচ্ছে—এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

আজম খানের একুশে পদক নিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমি জানি আজম খান একুশে পদক পেয়েছেন। এবার স্বাধীনতা পদক পেতে যাচ্ছেন। এটা ভালো সিদ্ধান্ত। এটুকু প্রাপ্য তিনি পেতেই পারেন। তাকে মূল্যায়ন করে ভালো কাজ করেছে।

'আজম খানের সঙ্গে আমার পরিচয় স্বাধীনতার পর। ফিরোজ সাইয়ের মাধ্যমে। তারপর সম্পর্ক গভীর হয়। ঢাকার রাস্তায় রিকশায় বহু জায়গা ঘুরেছি। বারবার বলতেন, দেখ আমি কিন্তু গেরিলা যোদ্ধা।'

তিনি বলেন, আজম খান যখন মারা যান আমি তখন কানাডায়। শেষ কথা হয়েছিল কানাডায় থাকতে। ফোনে অনেক কথা হয়েছিল। শেষ কথা ছিল—বন্ধু দেশে চলে আয়, মাঠ কিন্তু ফাঁকা। তার কথাটা আজও কানে বাজে। আরও বলেছিলেন, তুই তো অভিমানী, চলে আয়। গান কর।

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, যাই হোক, আমাদের অনেক স্মৃতি। অনেক গল্প জমা আছে। আজম খানকে মনে পড়ে। বন্ধুরা এক এক করে চলে গেছেন। আমারও বয়স হয়েছে। বন্ধুর জন্য গর্ববোধ করি। স্বাধীনতা পুরস্কার তার প্রাপ্য।

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

3h ago