সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান অভিনয় শিল্পী সংঘের নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক

আজাদ আবুল কালাম ও রাশেদ মামুন অপু।

রাজধানীর শিল্পীকলা একাডেমিতে গতকাল শনিবার বসেছিল তারার মেলা। অভিনয় জগতের অসংখ্য চেনা মুখ ভিড় করেছিলেন সেখানে। তাদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ জন সদস্য।

এবার অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রাশেদ মামুন অপু।

জয়ী হওয়ার পর দুইজনই কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আজাদ আবুল কালাম বলেন, আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, এটা আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা সবাই একসঙ্গে এক হয়ে কাজ করব।

'আব্দুল্লাহ রানাও আমার সঙ্গে সভাপতি পদে লড়েছেন। তিনি আমার বন্ধু। কাজেই সব সদস্যরা মিলেই অভিনয় শিল্পী সংঘ।'

রাশেদ মামুন অপু বলেন, অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্যদের প্রতি আমি কতটা কৃতজ্ঞ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে, আমি কিছুটা শঙ্কিতও।

কেন শঙ্কিত, জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, বিপুল ভোটে সদস্যরা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। সেই দায়িত্ব ঠিকঠাক মতো এবং সুন্দর করে পালন করতে পারব কি না, সেজন্য শঙ্কিত। দায়িত্ব শতভাগ পালনের জন্য চেষ্টা করব এবং কাজ করে যাব।

এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ আবুল কালাম বলেন, নতুন এই পদ বা দায়িত্ব আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। এক হাজারের বেশি সদস্য আমাদের। তাদের নিয়েই কাজ করতে হবে। তাদের অনেকের অনেক দাবি আছে, তাদের মর্যাদার বিষয় আছে, সেসব চাওয়া পূরণ করাও একটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। ঠিকভাবে যেন সব কাজ করতে পারি।

অভিনয় শিল্পী সংঘের নতুন সভাপতি হিসেবে কী কী কাজ করতে চান, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার নিজের একার চিন্তায় হবে না। আমরা ২১ জন নির্বাচিত হয়েছি। একেকজনের মত একেকরকম। আবার সবার সম্মিলিত মতামত আছে। সবাই মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব নতুন কাজ নিয়ে।

আগের কমিটির বিষয়ে নতুন সভাপতি বলেন, আগের কমিটি অনেক কাজ করেছে। তাদের কোনো কাজ শেষ হয়েছে, কোনো কাজ অর্ধেক হয়েছে। সবাই মিলে সেগুলো ঠিক করব, যেন অর্ধেক হওয়া কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে পারি।

রাশেদ মামুন অপু বলেন, সদস্যদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। তারা আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন। এখন কাজ করতে চাই।

কী কী কাজ প্রাধান্য পাবে, জানতে চাইলে সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বলেন, আফতাবনগরে সংগঠনের জমি আছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ওটার কিছু সমস্যা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে বসে জমির বিষয়ে ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই, যেন জমিটা ফেরত পাই। ওখানে অ্যাক্টর ইকুইটি হোম করার চিন্তা-ভাবনা আছে। শিল্পী কল্যাণ তহবিল চালু করতে হবে। সত্যি কথা বলতে শিল্পীদের কল্যাণমূলক কাজই করতে চাই। অভিনয়কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি চাই।

সবশেষে আজাদ আবুল কালাম বলেন, আমরা শিল্পীরা একটি পরিবার। সবাই মিলে মিলে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English
FY2026 Budget,

How the FY2026 budget can make a difference amid challenges

The FY2026 budget must be more than a mere fiscal statement.

20h ago