‘পরাণ’ সিনেমার নতুন রেকর্ড

'পরাণ' সিনেমায় বিদ্যা সিনহা মিম ও শরীফুল রাজ। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তির দেড় মাস পরেও প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানছে রায়হান রাফী পরিচালিত 'পরাণ'। 

আগামীকাল শুক্রবার সিনেমাটি আরও ৬টি হলে মুক্তি পাবে। এর মধ্যে ঢাকার মধুমিতা ও শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে এবং ঢাকার বাইরে নতুন করে আরও ৪টি হলে মুক্তি পাচ্ছে 'পরাণ'।

সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লাইভ টেকনোলজির পরিচালক ইয়াসির আরাফাত নতুন ৬টি হলে মুক্তির বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'সিনেমার ইতিহাসে পরাণ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এখনো এই সিনেমার চাহিদা আছে।'

'যেখানে দ্বিতীয় সপ্তাহ কিংবা তৃতীয় সপ্তাহ দর্শক পাওয়া কঠিন, সেখানে সপ্তম সপ্তাহ পার হওয়ার পরও বেশ ভালোমতোই চলছে সিনেমাটি,' যোগ করেন তিনি।

মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে দুবার 'পরাণ' আমার হলে প্রদর্শিত হয়েছে। মাঝে 'হাওয়া' চালিয়েছি। তৃতীয়বারের মতো আগামীকাল থেকে আবারো 'পরাণ' চলবে মধুমিতায়। সত্যি কথা বলতে এরকম সিনেমা আমাদের প্রয়োজন।'

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ দেশের দর্শকরা বারবার প্রমাণ করেছেন ভালো সিনেমার বিকল্প নেই। ভালো সিনেমার চাহিদা সবসময় আছে। এই সিনেমা নতুন করে তা প্রমাণ করেছে।'

গত ১০ জুলাই মুক্তি পেয়েছে 'পরাণ'। টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে সিনেমাটি। আগামীকাল থেকে ৩২টি হলে সিনেমাটি চলবে।

পরাণের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমাটির নায়িকা মিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সাকসেসফুল সিনেমা 'পরাণ'। এখনো 'পরাণ চলছে', এটা সিনেমার ইতিহাসে বিশাল ঘটনা। দর্শকরাই পরাণ সিনেমার প্রাণ। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।'

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। আগামী মাসে ইউরোপের ৩টি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মুক্তি পাবে 'পরাণ'।

ত্রিভুজ প্রেমের চলচ্চিত্র 'পরাণ' সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম, শরিফুল রাজ, ইয়াশ রোহান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Purchasing Managers’ Index

Bangladesh’s economy might have expanded in August: PMI

Growth stalls in agriculture, construction, as input costs and employment decline

52m ago