আমি আনন্দিত, আপ্লুত, খুশি: মীর সাব্বির

মীর সাব্বির
মীর সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত

২৪ বছরের ক্যারিয়ার মীর সাব্বিরের। টেলিভিশনে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন, পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। নাটক পরিচালনা করেও সফলতা পেয়েছেন। 

এবারই প্রথম সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মীর সাব্বির। পুরস্কার পাওয়ার পর দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যোগ হচ্ছে ক্যারিয়ারে সেরা অভিনেতা হিসেবে, কেমন লাগছে?

মীর সাব্বির: কিছু কিছু ভালোলাগা আছে যা সারাজীবন মনের গভীরে রয়ে যায়। এই প্রাপ্তি তেমনই। আমি আনন্দিত, আপ্লুত, খুশি। জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাই যেভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আমি সত্যি হৃদয় থেকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। খুবই ভালো লাগছে।

রাত জাগা ফুল সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেলেন, আপনি তো এই সিনেমার পরিচালকও?

মীর সাব্বির: হ্যাঁ। রাত জাগা ফুল আমার প্রথম পরিচালিত সিনেমা। এটি সরকারি অনুদানের সিনেমা। অনেক পরিশ্রম করে সিনেমাটি বানিয়েছি। ইউনিটের সবাই মিলে সিনেমাটি আমরা বানিয়েছি। সবাই অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন। অভিনয় শিল্পীরা সর্বোচ্চ শ্রম দিয়েছেন। সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

রাত জাগা ফুল সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

কখনো ভেবেছিলেন এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন?

মীর সাব্বির: কোনো শিল্পীই প্রাপ্তির কথা ভেবে শিল্পকর্ম করেন না। শিল্পীরা কাজ করেন মানুষের জন্য। আমিও অভিনয় করেছি, পরিচালনা করেছি শিল্পচর্চার জায়গা থেকে। পরে কাজের জন্য স্বীকৃতি পেলে, ভালোলাগাটা বেশি কাজ করে। কাজটি করার সময় শতভাগ সততা ও শতভাগ ভালোবাসা নিয়ে করেছি।

এখন কি দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল?

মীর সাব্বির: সত্যি কথা বলতে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি আমার কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। দায়বদ্ধতা নিয়েই আমি কাজ করি। শিল্পের প্রতি আমার কমিটমেন্ট সবসময়ই ছিল এবং থাকবে। শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতাই শিল্পীকে বড় করে তোলে। এটা আমার বিশ্বাস।

পরিবারের সবাই কতটা খুশি?

মীর সাব্বির: খবরটি তো আগেই জানাজানি হয়ে গেছে। ঘোষণা এসেছে একদিন আগে। পরিবারের সবাই খুব খুশি। সবার খুশি আমাকে আনন্দিত করেছে।

নিয়মিত সিনেমা বানাতে চান?

মীর সাব্বির: ইচ্ছে তো আছে, দেখা যাক। অভিনয় আমার নেশা, পেশা ও সাধনা। অভিনয়ের সঙ্গে সারাজীবন থাকতে চাই, পরিচালনাও করতে চাই ।

জীবনের সাফল্যকে কীভাবে দেখেন?

মীর সাব্বির: খুব পজেটিভভাবে দেখি। মা-বাবা থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের দোয়ায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি অনেক। আরও পেতে চাই। যদি সাফল্য আসে, তা সবার ভালোবাসায়, দোয়ায় এবং আমার পরিশ্রমে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চেয়েছিলাম অভিনেতা হব। সেই পথেই হাঁটছি।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu 2025, a litmus test for the interim government

Ducsu 2025 is much more than a contest for student union posts. It is like a referendum on the future of student politics in Bangladesh

35m ago