‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের প্রতিশ্রুত সহযোগিতা পাচ্ছি না’

শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফাইল ফটো। ছবি: সংগৃহীত

ওইসিডিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নের প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও প্রতিশ্রুত সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

আজ বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি (শেখ হাসিনা) খুব অল্প সংখ্যক নেতাদের মধ্যে একজন যিনি এমডিজি বাস্তবায়নের সময় এবং এসডিজি বাস্তবায়নের সময় ছিলেন। বাংলাদেশ তার যাত্রার ৫০ বছরে ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি মাথাপিছু আয় নিয়ে এসেছে; আরও অনেক সূচক আছে, আমরা মনে করি, একটি দেশের হাজার বছরের নির্যাতনের ইতিহাসের পরে মাত্র ৫০ বছরে বাংলাদেশ যে জায়গায় এসেছে, পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্র আছে যারা এত কম সময়ে এতদূর আসতে পেরেছে এবং সেটাও টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

শিল্পায়নের ইতিহাসে পর্যালোচনা করলে, এক সময় টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে সচেতনতা, বর্জ্য পরিশোধনাগারের (ইটিপি) বাধ্যবাধকতা ছিল না। যে যেভাবে পেরেছে...একটা পর্যায়ে এসে তাদের যথেষ্ট উন্নতি, যথেষ্ট রিজার্ভ, যথেষ্ট সক্ষমতা হয়েছে, তার পরে তারা বাস্তবায়ন করেছে। আমরা প্রতিটি পা ফেলছি হিসাব করে। প্রতিটি পা ফেলছি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে, বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের যে সহযোগিতাগুলো পাওয়ার কথা ছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ৩৮টি রাষ্ট্রের সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ১৯৭০ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জাতিসংঘে—তারা তাদের জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ উন্নয়ন সহযোগিতা দেবে পিছিয়ে পড়া রাষ্ট্রগুলোকে। এই ৩৮টির মধ্যে মাত্র ৫টি দেশ; নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ তাদের প্রতিশ্রুতি রেখেছে।

আমরা প্রত্যাশা করবো, সামনের দিনে তারা তাদের ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসবেন, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

From 2019 to 2025: How Ducsu election shows change

With this Ducsu poll being the first since the July uprising, I decided to witness history with my own eyes -- this time as a journalist and alumnus

11m ago