মীরসরাইয়ে ড্রেজারডুবি

এখনও খোঁজ মেলেনি ৪ শ্রমিকের, সাগরপাড়ে অপেক্ষায় স্বজনরা

সোমবার রাত ১০টার দিকে বালুর ড্রেজারটি ডুবে যায়। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ড্রেজারডুবিতে নিখোঁজ ৪ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ আছেন আরও ৪ জন। আজ বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের খোঁজ পায়নি উদ্ধারকারী দল।

মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী জানান, ডুবে যাওয়া বালুর ড্রেজারের ভেতর থেকে আজ সকালে ৩ জনের মরদেহ এবং গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

বিকেল ৪টা থেকে উদ্ধার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাকিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান।

এদিকে নিখোঁজ ৪ জনের স্বজনরা গতকালের মতো আজও দিনভর সাগড়পাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুণেছেন। সকাল থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিখোঁজ আলম সর্দারের ভাই সিদ্দিকুর রহমান ও শাহীন মোল্লার ভাই এনায়েত মোল্লা। ভাইয়ের খোঁজ পেলেই বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আলম সর্দারের ভাই সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'সঠিক সময়ে উদ্ধার কাজ শুরু করলে এমন হতো না। হয়তো তাদের জীবিত উদ্ধার করা যেত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ভাইয়ের জন্য সাগরপাড়ে অপেক্ষা করছি আমরা।'

নিখোঁজ শাহীন মোল্লার ভাই এনায়েত মোল্লা বলেন, 'ভাইকে পাওয়া ছাড়া আমরা এখান থেকে বাড়ি ফিরে যাব না। আমার ভাই মৃত হোক আর জীবিত হোক, পেতে হবে।' 

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, উদ্ধার হওয়া ৪ জনের মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সাগর কিনারে থাকা একটি বালুর ড্রেজার ডুবে যায়। এ সময় ড্রেজারে থাকা ৮ শ্রমিক নিখোঁজ হন। 

এখন পর্যন্ত যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন আনিস মোল্লার ছেলে ইমাম মোল্লা (২৫), মৃত রহমান ফকিরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদুল মোল্লা (২২) এবং আল আমিন (২০)। তারা সবাই পটুয়াখালীর জৈনকাঠীর বাসিন্দা।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago