যমুনায় বাড়ছে পানি, ৩ দিনে বিপৎসীমায় পৌঁছানোর শঙ্কা

কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকায় যমুনার পানি বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে যমুনার নদীর পানি বাড়ছে। নদীতে পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। 

আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে যমুনার পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ০৫ মিটার নিচ দিয়ে ১১ দশমিক ৮৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময় কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৩ মিটার নিচ দিয়ে ১৩ দশমিক ১৭ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। আরও ২-৩ দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।' 

'যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে যমুনার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাবে। তবে পানি বাড়লেও আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই,' বলেন তিনি।

প্রকৌশলী রনজিত আরও বলেন, 'পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছার পর আবারও পানি কমতে শুরু করবে। পরবর্তীতে আবার পানি বাড়বে। সে সময় বন্যার আশঙ্কা আছে।' 

মৌসুমি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢলে তিস্তা ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরাঞ্চলের সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় উজানের পানিতে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড আপাতত বন্যার আশঙ্কা না করলেও, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নদীপাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। 

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানায়, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, চৌহালি, শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় নদীপাড়ের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। 

চৌহালি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের রেজাউল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীপাড়ের বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেকেই ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে।' 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী রণজিত কুমার বলেন, 'যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল ও চরের কিছু এলাকায় পানি ঢুকলেও এখনো মানুষের বাড়িঘর বা ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেনি। ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।' 

নদীপাড়ের কিছু বালুময় এলাকায় ভাঙন হলেও বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
Women in July uprising

The unfinished revolution for women's political rights

Post-uprising women were expected to play central role in policymaking, which did not happen.

8h ago