রিমাল

ভোলায় বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপরে মেঘনা, বরিশালে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দৌলতখানে বাঁধ প্রায় ভেঙে গেছে। ছবি: মনির উদ্দিন অনীক

বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী জোয়ারে পানির উচ্চতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবোর তথ্য বলছে, আজ রোববার ভোররাত ৩টার দিকে পরবর্তী জোয়ার আসতে পারে। বরিশাল বিভাগের ভোলার মেঘনা নদী ছাড়াও বরগুনার বিষখালী, বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীতে পানি বিপৎসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীতে তিন সেন্টিমিটার ও পটুয়াখালীর বুড়িশ্বর নদীতে পানি বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভোলার পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢুকছে। এর মধ্যে মনপুরা, তজুমদ্দিন ও দৌলতখানের বেশ কয়েকটি এলাকা রয়েছে। সেখানে আমাদের কর্মকর্তারা বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বালুর বস্তা দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। দৌলতখানের মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট জোয়ারের পানি যাতে না ঢোকে, সেজন্য বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে।

দৌলতখানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: মনির উদ্দিন অনীক

তিনি আরও বলেন, এখন ভাটা চলছে। আজ ভোররাত ৩টার দিকে জোয়ার এলে পানি আরও বাড়বে।

এদিকে ভোলায় ৮৬৯ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন।

তিনি আরও জানান, পূর্ণিমার কারণে উপকূলে পানির উচ্চতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। ভোলার মনপুরা, দৌলতখানসহ নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

দৌলতখানে বাঁধ প্রায় ভেঙে গেছে। ছবি: মনির উদ্দিন অনীক

বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিত কুমার।

তিনি বলেন, বরিশাল জেলায় কোথাও বাঁধ না ভাঙলেও হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানি ঢুকেছে।

Comments

The Daily Star  | English

'BNP supports chief adviser, but that support has limits'

Salahuddin says when a govt runs for a long time without election, it creates many problems

27m ago