জ্বালানি নিরাপত্তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে চিঠি লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি।ছবি: সংগৃহীত

ক্লিন ইডিজিই এশিয়া ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে বাংলাদেশেকে জ্বালানি নিরাপত্তা, ক্লিন এনার্জি এবং জ্বালানি প্রাপ্যতা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নেতৃত্বাধীন যৌথ উদ্যোগ 'গ্লোবাল মিথেন প্লেজে' বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জন কেরিকে চিঠি দেওয়ার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র এ চিঠি পাঠাল।

'গ্লোবাল মিথেন প্লেজ' ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী মিথেন নিঃসরণ অন্তত ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মিথেন নিঃসরণরোধের লক্ষ্যে গঠিত।

চিঠিতে জন কেরি বলেন, কার্যক্রম উন্নত করার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অফ এনার্জি রিসোর্সেস বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি এবং প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ল্যাবরেটরির মধ্যে একটি নতুন অংশীদারিত্বের সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করছে। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বর্ধিত ব্যবহারে সহায়তার জন্য গ্রিড স্থিতিশীলতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনাও করছে।

পেট্রোবাংলার সঙ্গে কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন, স্টোরেজ এবং ব্লু হাইড্রোজেন ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে নতুন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চালু করার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যের কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে।

গত বছর ১০টি নতুন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ঘোষণা করায় চিঠিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন জন কেরি।

কম কার্বননি:সরণকারী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন তিনি। কেরি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জলবায়ু উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান।

তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে এগ্রিকালচার ইনোভেশন মিশন ফর ক্লাইমেটে (এআইএম৪সি) যোগদান করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে 'আওয়ার ওশ্যান কনফারেন্সে' করা অঙ্গীকারের জন্যও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মিথেন নিঃসরণ কমানোর কারণে বাংলাদেশের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতায় কোনো বিরূপ প্রভাব পড়লে, তা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা করার আশ্বাসের কথা কেরিকে স্মরণ করিয়ে দেন এ কে আব্দুল মোমেন।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

7h ago