দেশের প্রথম টাইফয়েড টিকা কার্যক্রমে ৯০ লাখ শিশুর নিবন্ধন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ লাখ শিশু নিবন্ধিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ আগস্ট থেকে। https://vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে। নিবন্ধনের পর একটি ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন কার্ড পাওয়া যাবে, যা নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার সময় দেখাতে হবে। তবে জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকা শিশুদের ক্ষেত্রে সরাসরি টিকা কেন্দ্রে নিবন্ধন করা যাবে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম ১০ কার্যদিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এরপরের ৮ কার্যদিবস অস্থায়ী ও স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
আজ রোববার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, বাংলাদেশে টাইফয়েড আক্রান্তের হার অনেক দেশের তুলনায় বেশি।
তিনি জানান, ২০২১ সালের গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ জরিপ অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু।
এ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষায় সরকার প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, এই টিকা টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি)—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রি-কোয়ালিফায়েড এবং বাজারে বিদ্যমান টিকার তুলনায় আরও কার্যকর। এটি ৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে এবং হালাল।
তিনি আরও জানান, দেশের ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকার মজুত রয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৯ লাখ ২৭ হাজার শিশু নিবন্ধিত হয়েছে।
এছাড়া, এ কর্মসূচি পরিচালনায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে যেন মসজিদের ইমামরা এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারেন।
Comments