যুক্তরাষ্ট্র

হত্যার খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া টিভি সাংবাদিককে গুলি করা হত্যা

ঘটানর বিবরণ জানাচ্ছে পু্লিশ। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোতে কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটে যাওয়া এক হত্যাকাণ্ডের খবর সংগ্রহের সময় এক টিভি সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছেন এক বন্দুকধারী। এ সময় আরেক সাংবাদিকও গুলিবিদ্ধ হন।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকেও গুলি করে হত্যা করেন তিনি। একই বন্দুকধারীর গুলিতে শিশুটির মাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, প্রথম হত্যাকাণ্ডটি, যেটির খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজনই এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে কিথ মেলভিন মোজেস (১৯) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশকে কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।

পুলিশের তথ্যমতে, নিহত সাংবাদিক ফ্লোরিডা ক্যাবল টেলিভিশনের আউটলেট স্পেকট্রাম নিউজ থারটিনে কাজ করতেন। তার নাম ডিলান লিয়ন্স (২৪)। আহত সাংবাদিকের নাম জেসি ওয়াল্ডেন। তিনি একই টিভির ফটো সাংবাদিক।

২ সাংবাদিক ওই এলাকায় একজন নারীর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদনের কাজ করছিলেন। তখনই ওই হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন ফিরে এসে আক্রমণ চালান। তবে তাদের টার্গেট করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে অরেঞ্জ কাউন্টি শেরিফ জন মিনা বলেন, সাংবাদিক ২ জন তাদের গাড়ির মধ্যে বা কাছাকাছি ছিলেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে তাদের গুলি করা হয়।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার পর অভিযুক্ত বন্দুকধারী কাছের একটি বাড়িতে গিয়ে এক শিশু ও তার মাকে গুলি করে। শিশুটি মারা যায় এবং তার মা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবারের এসব ঘটনার কোনোটিরই কোনো উদ্দেশ্য জানা যায়নি। তবে প্রথম ঘটনায় নিহত নারীর সঙ্গে মোজেসের পরিচয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার আগে ওই নারী মোজেস ও আরেক ব্যক্তির সঙ্গে একটি গাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

তবে ওই মোজেসের সঙ্গে সাংবাদিক ২ জন বা পাশের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ মা-মেয়ের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

শেরিফ জন মিনা বলেন, 'আমরা যতদূর জানতে পেরেছি তাতে ২ সাংবাদিকের সঙ্গে এবং ওই মা ও শিশুর সঙ্গে সন্দেহভাজনের কোনো সম্পর্ক ছিল না।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago