মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ‘যেকোনো মূল্য দিতে তৈরি’ রাহুল গান্ধী

রাহুল গান্ধী। ছবি: রয়টার্স

মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার এক দিনের মাথায় লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণার পর এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস-নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমি ভারতের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে এসেছি। এ জন্য আমি যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত।'

আজ শুক্রবার এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মানহানির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে ৫২ বছর বয়সী রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দেন।

এরপর আজ শুক্রবার দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে লোকসভা সচিবালয়।

রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই সময় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, 'চৌকিদার চোর'। তিনি আরও বলেছিলেন, 'সব মোদিরা কেন চোর হয়। সব চোরের পদবি কীভাবে "মোদি"।

এদিকে রাহুলের বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুলকে একজন শহীদ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'তাকে (রাহুল) মীর জাফর বলা হয়েছে এবং তার পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু তিনি মাথা নত করবেন না। কারণ তিনি এমন একটি পরিবারের সদস্য, যার সদস্যরা তাদের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্রকে লালন করেছেন।'

একের পর এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীজি, আপনার চাটুকাররা শহীদ প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, মীর জাফর বলেছেন। আপনাদের একজন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, "রাহুল গান্ধীর বাবা কে? কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রথা অনুসরণ করে একটি ছেলে তার বাবার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে পাগড়ি পরে।"'

মোদিকে উদ্দেশ্য করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'পুরো পরিবার ও কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়কে অপমান করে আপনি সংসদে জিজ্ঞেস করেছেন, কেন আমরা নেহেরু নাম রাখি না। কিন্তু কোনো বিচারক আপনাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেননি। আমি আপনাকে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করিনি।'

 

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

2h ago