সিরিয়ায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় ইসরায়েলের গোপন অভিযানের তথ্য প্রকাশ

ইরানের দক্ষিণে বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ-মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জানুয়ারি ২০২৩)
ইরানের দক্ষিণে বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ-মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স (জানুয়ারি ২০২৩)

সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্রে গোপন অভিযান চালিয়েছিল বলে জানা গেছে। হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগে বাধা দিতে এই অভিযান চালানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম কান নিউজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েল সিরিয়ার মেসাফ শহরের কাছে অবস্থিত এই ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় অভিযান চালায়।

এই ক্ষেপণাস্ত্র কারখানার দেখভালের দায়িত্বে ছিল ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (আইআরজিসি)।

একই সময়ে ওই কারখানার পাশাপাশি সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রেও হামলা চালায় ইসরায়েল। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব অভিযান চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

কান নিউজকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সিরিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণাকেন্দ্রের দিকে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নজর রেখে এসেছে ইসরায়েল।

ইরান এই কারখানায় অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাঁচামাল স্থানান্তর করেছে—এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেই এই অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ইসরায়েল।

এই 'ক্রমবর্ধমান হুমকি' অবসান করতেই ইসরায়েল অভিযান চূড়ান্ত করে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ

ইরানের হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় বাৎসরিক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইরানের হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় বাৎসরিক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধের উদ্বেগ এই অভিযানে মদদ দেয়। ইরানের এই কারখানায় বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন শুরু হলে বিপাকে পড়বে ইসরায়েল—এমন আশঙ্কা থেকেই এই অভিযানের সূত্রপাত।

কান নিউজ জানিয়েছে, এই কারখানায় উৎপাদিত ক্ষেপণাস্ত্র লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানোর কথা ছিল। এই চালানগুলো পেলে লেবাননে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পারত বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করেন।

ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে ২০০ কিমি দূরে এই অভিযান পরিচালিত করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই অবকাঠামো থেকে পূর্ণ মাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিল ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েলি অভিযানে ইরানের সেই অবকাঠামোর ঠিক কতটুকু ক্ষতি হয়েছে বা এই ক্ষেপণাস্ত্র না পাওয়ার কারণেই হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে কী না, সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
China urges US for fair trade talks

China warns countries against striking trade deals with US at its expense

Beijing "will take countermeasures in a resolute and reciprocal manner" if any country sought such deals, a ministry spokesperson said

1h ago