মিয়ানমারে সেনাদের বিমান হামলায় নিহত ১২

বিমান হামলার পর আহতদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে । ছবি: এএফপি
বিমান হামলার পর আহতদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে । ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের একটি গ্রামে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ঐ গ্রামের এক স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা হয়।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের প্রবল হামলার হিমশিম খাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা। যার ফলে, তারা বারবার বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আকাশ পথে হামলা চালাচ্ছে।

শুক্রবার বিকেলে লেতপানহ্লা গ্রামে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। গ্রামটি মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালায় থেকে ৬০ কিমি উত্তরে।

সিঙ্গু টাউনশিপের আওতাধীন এই গ্রামের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামের স্বাধীনতাকামী গেরিলা গোষ্ঠীর হাতে। চার বছর আগে বেসামরিক সরকার উৎখাতের পর থেকেই এই গোষ্ঠী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, '(তারা) জনবহুল জায়গায় বোমা ফেলায় অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। এমন সময় ঘটনাটি ঘটে যখন সবাই বাজারে যাচ্ছিল।'

তিনি শনিবার জানান, 'আমরা এখন মৃতদের তালিকা তৈরি করছি। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে নিবন্ধিত করা হয়েছে।'

এ বিষয়ে জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় এএফপি। মৃতের সংখ্যা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার কোনো সুযোগও পায়নি বার্তা সংস্থাটি।

বিমান হামলার পর আগুন নেভানোর কাজ চলছে । ছবি: এএফপি
বিমান হামলার পর আগুন নেভানোর কাজ চলছে । ছবি: এএফপি

অপরদিকে, স্থানীয় পিডিএফ ইউনিট জানিয়েছে, হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মাইইন্ত সোই (৬২) জানান, একটি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ শুরু হলে তিনি লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেন।

'আমি যখন লুকিয়ে ছিলাম, তখন বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই', যোগ করেন তিনি।

'বের হয়ে এসে দেখলাম বাজারে আগুন জ্বলছে'।

বোমা হামলার পর মানুষের বাড়িঘর ও রেস্টুরেন্টে আগুন জ্বলছিল। বেসামরিক মানুষ আর ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিরা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

এ মুহূর্তে মিয়ানমারের সম্পূর্ণ ভূখণ্ডের দখল সামরিক জান্তার হাতে নেই। বেশ কিছু নৃগোষ্ঠী-ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন ও অভ্যুত্থানবিরোধী পক্ষের হাতেও রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

1h ago