ইরান ‘সন্ত্রাস-অস্থিতিশীলতার’ উৎস, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে: জি৭

ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন জি৭ জোটের নেতারা। ছবি: এএফপি
ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন জি৭ জোটের নেতারা। ছবি: এএফপি

শীর্ষ ৭ শিল্পোন্নত দেশের জোট জি৭ মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। পাশাপাশি ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে 'সন্ত্রাস ও অস্থিতিশীলতার' মূল উৎস হিসেবে অভিহিত করেন জোটের নেতারা।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গতকাল সোমবার কানাডায় জি৭ জোটের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে জোটের নেতারা ইরানকে চলমান সংঘাতের জন্য দায়ী করেন।

জোটের নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসের মূল উৎস ইরান।'

বিবৃতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, 'ইরানে সংঘাতের মাত্রা' কমিয়ে আনার আহ্বান জানান নেতারা।

তবে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটে ইসরায়েলের নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে—এ বিষয়টি উল্লেখ করতে ভুলেননি শিল্পোন্নত দেশের নেতারা।

'আমরা নিশ্চিত করছি, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। আমরা বারবার একটি বিষয় স্পষ্ট করেছি, এবং তা হলো, ইরানের কাছে কখনোই পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারবে না'। 

ইসরায়েলি হামলায় তেহরানের আজাদি টাওয়ারে আগুন ধরে যায়। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় তেহরানের আজাদি টাওয়ারে আগুন ধরে যায়। ছবি: এএফপি

'আমরা আশা করব ইরান-সংকটের সমাধানের হাত ধরে সার্বিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে সব ধরণের সহিংসতার অবসান ঘটবে। এর মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতিও অন্তর্ভুক্ত'। 

শুক্রবার ইরানে বড় আকারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে রাশ টেনে ধরার জন্যই এই হামলা।

ওই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও প্রথম সারির পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। পাশাপাশি বড় আকারে অবকাঠামোগত ক্ষতির শিকারও হয় দেশটি। হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে পাল্টা হামলা শুরু করে তেহরান।

টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান সংঘাতে গতকাল পর্যন্ত ইরানে ২২৪ জন নিহত ও এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৫৯২ জন আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন, ইয়েমেন ও সিরিয়াতেও বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়েছে দেশটি।

এর সঙ্গে ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাত যোগ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

9h ago