‘নো আমেরিকা, নো ইসরায়েল’ স্লোগানে উত্তাল তেহরান-বাগদাদের রাজপথ

ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইরাকের বসরা শহরে জুমার নামাজের পর জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক ও ইরানের রাজপথ। আজ শুক্রবার বাগদাদ ও তেহরানে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নামে। 

অংশগ্রহণকারীরা 'নো আমেরিকা, নো ইসরায়েল' স্লোগানে মুখর ছিলেন বলে বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে 'ইসরায়েল নিপাত যাক' স্লোগান দিচ্ছেন। 

ইরানে ইসরায়লি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

অনেকের হাতে ছিল সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি কমান্ডারদের ছবি ও হিজবুল্লাহর পতাকা।

এক বিক্ষোভকারীর ব্যানারে লেখা ছিল, 'আমি আমার নেতার জন্য জীবন উৎসর্গ করব।' 

বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সমর্থন জানান।

তেহরান ছাড়াও উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ এবং দক্ষিণাঞ্চলের শিরাজ শহরেও একইরকম প্রতিবাদ মিছিল হয়।

ইরাকের বাগদাদ ও বসরায় যুদ্ধবিরোধী এই বিক্ষোভের পেছনে নেতৃত্ব দেন ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোক্তাদা সাদরের অনুসারীরা।

বাগদাদের সাদর সিটির প্রধান মসজিদের সামনে জুমার নামাজের পর কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। 

তারা বলেন, 'এটি অন্যায় যুদ্ধ…ইসরায়েলের ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে আসলে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চলছে।'

৫৪ বছর বয়সী ট্যাক্সিচালক আবু হুসেইন এএফপিকে বলেন, 'আমরা চাই ইরান এই যুদ্ধে জয়ী হোক। ইরাকের উচিত ইরানকে অর্থ, অস্ত্র ও প্রতিবাদের মাধ্যমে সাহায্য করা।'

বসরা শহরেও কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেখানকার ধর্মীয় নেতা কুসাই আল-আসাদি বলেন, 'ইসরায়েল ইরানকে আঘাত করতে ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে—এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।'

চলমান পরিস্থিতি মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে একটি 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ' ডেকে আনতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মোক্তাদা সাদর এক বিবৃতিতে 'ইসরায়েল ও আমেরিকান সন্ত্রাসবাদ' এবং ইরান, ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে 'আগ্রাসনের' তীব্র নিন্দা জানান।

গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী নিহত হন।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago