ব্রিকস সম্মেলনে ইরানের কূটনীতিক বিজয়

ব্রিকস জোটের নেতারা ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। ছবি: এএফপি
ব্রিকস জোটের নেতারা ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। ছবি: এএফপি

ব্রাজিলের রাজধানী রিও দি জেনেইরোতে চলছে ব্রিকস জোটের সম্মেলনে। এই সম্মেলনে জোটের অন্যান্য দেশ ইরানকে সমর্থন জুগিয়েছে। গত মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের 'বিনা উসকানিতে' সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানিয়েছে জোটের সদস্যরা।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। 

এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের সদস্য দেশগুলোর নেতারা বলেন, 'ইরানের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া সামরিক হামলার প্রতি আমরা নিন্দা জানাই।'

'পাশাপাশি আমরা বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত পরমাণু স্থাপনায় ইচ্ছাকৃতভাবে হামলার ঘটনায় গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি'

ব্রিকস সম্মেলনে নেতারা সভাপতির ভাষণ শুনছেন। ছবি: এএফপি
ব্রিকস সম্মেলনে নেতারা সভাপতির ভাষণ শুনছেন। ছবি: এএফপি

১১ দেশের জোটের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এসব হামলা 'আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।'

তবে বিবৃতিতে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকস জোটের এই অবস্থান ও বিবৃতি প্রকাশের উদ্যোগ তেহরানের জন্য একটি বড় কূটনীতিক বিজয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ১২ দিনের বিমান হামলার পর দেশটি আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক মহল থেকে খুব বেশি সমর্থন পায়নি। নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইস্পাহানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বোমা হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয় ইরান ও ইসরায়েল।

ব্রিকস জোটের সদস্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়া। 

ব্রিকস জোটের কূটনীতিকরা সম্মেলনের শুরু থেকেই ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতি নিন্দা জানানোর বিষয়টি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। সব দেশই নীতিগতভাবে নিন্দা জানাতে রাজি হলেও নিন্দার ভাষা কতটা কঠোর হবে, সেটা নিয়েই মূলত বিতর্ক অব্যাহত ছিল।

পরিশেষে, তেহরানের অনুরোধে বেশ কড়া ভাষায় নিন্দা জানাল ব্রিকস।

ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। ছবি: এএফপি
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। ছবি: এএফপি

জোটের সদস্যরা গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিও নিন্দা জানায়। অপর এক বিবৃতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চালুর আহ্বান জানানো হয়।  

'গাজা উপত্যকা ও অন্যান্য অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনা শতভাগ প্রত্যাহারের' দাবি জানায় জোটটি।

তবে গাজা বা ইরান নয়, সম্মেলনের মূল আলোচনার বিষয় ছিল 'ট্র্যাম্প শুল্ক'। যেসব দেশ এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেনি, শিগগিরই তাদের ওপর ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মোটা অংকের শুল্ক আরোপ হতে যাচ্ছে।

১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এসব শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিকস জোটের নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

2h ago