ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করছেন ফিলিস্তিনিরা। ৬ আগস্ট, ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

শনিবার ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন বেসামরিক মানুষ, যারা ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

আজ রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির বরাত দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, উত্তর গাজার একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে ১২ জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন।

তিনি আরও জানান, মধ্য গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালালে আরও ছয়জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হন।

মাহমুদ বাসালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্য গাজায় বিমান হামলায় আরও বহু হতাহত হয়। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে গাজায় গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ এবং বহু এলাকায় প্রবেশে বাধা থাকায় সিভিল ডিফেন্স ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া হতাহতের সংখ্যা ও বিস্তারিত তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি এএফপি।

গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিদিন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হন, যার মধ্যে চারটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে।

গত মে মাসের শেষ দিকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই খবর আসছে, ত্রাণ সংগ্রহে অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করায় খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের জেনারেটর চালাতেও জ্বালানি ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলে নিতে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

তীব্র সমালোচনা ও ইসরায়েলি সামরিক নেতৃত্বের ভেতর থেকে অসন্তোষের গুজব ছড়িয়ে পড়লেও নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তে অনড় আছেন।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই সংখ্যা নির্ভরযোগ্য।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago