তিয়ানজিনে ‘ড্রাগন-হাতি’র করমর্দন

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা
চীনের তিয়ানজিং শহরে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করমর্দন করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

এবার বিশ্ববাসী দেখবে 'ড্রাগন-হাতি'র খেলা। বিশ্বমঞ্চে একসঙ্গে নাচবে 'ড্রাগন-হাতি'—এমনই বার্তা দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে দৈনিক সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু'র প্রতিবেদনে বলা হয়—দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে চীনের নেতা পরিবর্তিত বিশ্বের কথা বলেছেন।

চীন ও ভারতকে দুই প্রাচীন সভ্যতার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন শি। বলেন, তারা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশও। এই দেশ দুইটি গ্লোবাল সাউথের অংশ। তার মতে, এই দেশ দুইটির 'বন্ধু হওয়া প্রয়োজন। ভালো প্রতিবেশী হওয়া দরকার।'

'ড্রাগন ও হাতির' এক মঞ্চে আসা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

গতকাল প্রায় ৭ বছর পর চীনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপলক্ষ—তিয়ানজিং শহরে ১০ জাতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলন। ঘটনাচক্রে, চীন-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী বা হীরক জয়ন্তী পড়েছে চলতি বছরে।

শি জিনপিং আশা করছেন, এই দুই বৃহৎ জাতির সম্পর্ককে কৌশলগত ও সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে।

'একটি বহু-মেরু বিশ্বের জন্য ও বিশ্বমঞ্চে বহুত্ববাদকে তুলে ধরতে আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোয় গণতান্ত্রিক চর্চা রাখতে হবে। এশিয়া তথা সারাবিশ্বে শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।'

চীন-ভারত সম্পর্কের মাধ্যমে দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের মঙ্গলের কথাও বলেছেন শি।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছেন—ভারতও পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। মোদির ভাষ্য, 'আমাদের সহযোগিতা দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। এটি সবার মঙ্গলের দিকে নিয়ে যাবে।'

তবে চীনকে নিয়ে মোদির এমন আশাবাদ তার নিজ দেশে সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস চীন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির অবস্থানের সমালোচনা করে বলেছে, এই 'নতুন বাস্তবতা' চীনের দাদাগিরিকে প্রতিষ্ঠিত করছে। এর মাধ্যমে মোদি সরকারের মেরুদণ্ডহীনতাই প্রকাশ পাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

SC Secretariat Ordinance: Judges may hold executive posts

Lower court judges will be able to hold executive positions in the law ministry as well as state entities even after the establishment of a Supreme Court secretariat aimed at keeping the judiciary free from the executive’s influence, says a draft ordinance.

4h ago