ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির উপযুক্ত ‘জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিলো ইসরায়েল

সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে উঠেপড়ে লেগেছে পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের মতো দেশ এই উদ্যোগ নেওয়ায় স্বভাবতই চটেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ তার মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যরা।
গতকাল রোববার এএফপির প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
'মারাত্মক ভুল'
গতকাল রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগকে 'মারাত্মক ভুল' বলে আখ্যা দেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা'আর।
তিনি হুশিয়ারি দেন, এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে পাল্টা, একপাক্ষিক প্রতিক্রিয়া জানাবে ইসরায়েল। 'উপযুক্ত জবাব' দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ এ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জুলাই মাসে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে 'দুই রাষ্ট্র সমাধান' নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক দেশ ছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব। সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ঘোষণা দেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে প্যারিস।

পরবর্তীতে ব্রিটেন জানায়, ইসরায়েল যদি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালু না করে, তাহলে তারাও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
রোববার গিডিয়ন সাআর বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি 'এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে' এবং 'শান্তি প্রতিষ্ঠা' আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
সাআর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'এতে ইসরায়েল একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।'
'ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো তথাকথিত স্বীকৃতির উদ্যোগে এগিয়ে যেয়ে বড় ভুল করেছে', যোগ করেন তিনি।
ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি বলেন, 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দাওয়া বিপর্যয় ডেকে আনবে।'
তিনি বিবিসিকে বলেন, 'অসলো চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই গঠিত হয়নি। এভাবে একপাক্ষিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে ওই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।'
Comments