ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইতালি, তবে...

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে পারে ইতালি। তবে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হলেই কেবল এই স্বীকৃতি আসবে।
গতকাল মঙ্গলবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট।
মেলোনি বলেন, ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিলে এবং ভবিষ্যতে হামাসকে ফিলিস্তিনের সব ধরনের প্রশাসনিক ভূমিকা থেকে বাদ রাখা হলেই কেবল এ ধরনের উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখবে।
গণমাধ্যমকে মেলোনি আরও বলেন, 'আমি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে নেই। তবে আমাদের প্রাধান্যের বিষয়গুলো নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভুল করার সুযোগ নেই।'
তিনি আরও ঘোষণা দেন, তার সরকার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্টে উত্থাপন করবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গেছেন মেলোনি। সেখানেই তিনি ওই বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক মহলের উচিৎ ইসরায়েলের পরিবর্তে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। হামাসই ওই সংঘাত শুরু করেছে এবং তারাই জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে যুদ্ধ বন্ধ করতে দিচ্ছে না।'

ইতালির ডানপন্থি সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জর্জিয়া মেলোনি। তার শাসনামলে দেশটি ইউরোপে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে।
ইতোমধ্যে জি৭ জোটের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জি৭ জোটের আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সে পথে পা মাড়ায়নি রোম।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে অনুসরণ করে বিশ্বের সব দেশকে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ করেন।
জাতিসংঘের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, 'গাজায় গণহত্যা চলছে। আমরা যখন বৈঠক করছি, ঠিক সে মুহূর্তে সেখানে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে।'
তিনি ইসরায়েলের 'গণহত্যাকারী বাহিনীকে' জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান।
Comments