ফ্লোটিলার ৭ জাহাজের পেছনে ছুটছে ইসরায়েলি বাহিনী

ফ্লোটিলার জাহাজ "ফ্লোরিডায়" ইসরায়েলি সেনা। ছবি: রয়টার্স
ফ্লোটিলার জাহাজ "ফ্লোরিডায়" ইসরায়েলি সেনা। ছবি: রয়টার্স

গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার প্রতীকী নৌবহর বা ফ্লোটিলা অভিযান যেন শেষ পর্যায়ে। ছোট ছোট জাহাজগুলোর বেশিরভাগই এখন ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। অল্প যে কয়টি এখনো সচল আছে, সেগুলোর পেছনে ছুটছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

গতরাত থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় অবস্থানরত জাহাজগুলোকে আটক করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। রাতভর অভিযানের পর তা আজ সকালেও চলছিল।

ইসরায়েলি সেনাদের দাবি—গ্লোবাল সুমুদ গ্লোটিলা'র ৪৭টি নৌযানের ৪০টিই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। ওই জাহাজগুলো থেকে দুই শতাধিক মানবাধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ফ্লোটিলার চারটি জাহাজ কারিগরি সমস্যার কারণে সাগরে আটকে আছে। ওই চার জাহাজে অবস্থান নেওয়া মানবাধিকার কর্মীদেরকেও গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিয়েছে নৌবাহিনী।

বাকি তিন জাহাজও শিগগির ইসরায়েলি শায়েতেত-১৩ নৌ কমান্ডো ইউনিটের হাতে ধরা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে গ্লোবাল সুমুদ লাইভ ফ্লোটিলা ট্র্যাকারে দেখা যাচ্ছে ফ্লোটিলায় ৪৪টি জাহাজ ছিল। এতে আরও দেখা যাচ্ছে ম্যারিনেট, মিকেনো, শিরিন ও সামারটাইম...জং নামের চার জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে জানা গিয়েছিল, গাজার সমুদ্রসীমা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে মিকেনো নামের জাহাজটি।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'যাত্রীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।'

ইসরায়েলি সেনা জানিয়েছে, কোনো জাহাজ যাতে নৌবাহিনীর চোখ এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছাতে না পারে, তা নিশ্চিতে পুরো এলাকা সারাক্ষণ রাডার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

People from all walks of life arrive by bus, train and other modes of transport

1h ago