গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অনুমোদন দিল ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ইসরায়েল অনুমোদন দিয়েছে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এই চুক্তিতে অনুমোদন দেয়।  

নেতানিয়াহু একে 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত' বলে উল্লেখ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। 

পাশাপাশি তিনি মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আল-জাজিরা জানায়, চুক্তি অনুমোদনের ভোটে ডানপন্থী ইসরায়েলি দলগুলো বিরোধিতা করে। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আগেই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানান, তিনি এমন কোনো সরকারের অংশ হবেন না 'যে সরকার গাজায় হামাসের শাসন অব্যাহত থাকতে দেবে'।

 

এই চুক্তির প্রথম ধাপে থাকছে, হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি। হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বিপরীতে ইসরায়েল শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েল গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে এবং প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি 'সোমবার বা মঙ্গলবারে'র মধ্যে হতে পারে।

হামাসের আলোচনাকারী দলের প্রধান খালিল আল-হাইয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছ থেকে তারা স্পষ্ট নিশ্চয়তা পেয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়া মানে গাজায় যুদ্ধের 'সম্পূর্ণ সমাপ্তি'।

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৭ হাজার ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ৬৯ হাজার ৮৯০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো হাজারো মানুষের লাশ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

Comments

The Daily Star  | English

All agree on efficient ports, but debate over deal timing, details

Govt says renowned global operators will modernise port system, reduce corruption and eventually increase Bangladesh’s competitiveness

11h ago