শাটডাউনের কারণে আজ রিপাবলিকানরা নির্বাচনে হেরেছে: ট্রাম্প
মার্কিন রাজনীতিতে সেই ঘটনাবহুল রাতে শুধু জোহরান মামদানি নয়, জয় পেয়েছেন আরও দুই ডেমোক্র্যাট নেতা।
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানি তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়েছেন। পাশাপাশি, নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গভর্নর নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হয়েছেন।
প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে—নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মাইকি শেরিল ও এবিগেইল স্প্যানবার্গার।
এসব পরাজয়ের জন্য চলমান শাটডাউনকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প।
পাশাপাশি, তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ফলাফল ভিন্ন হতো বলে মনে করেন সাবেক আবাসন ব্যবসায়ী ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প অজ্ঞাত নির্বাচন নিরীক্ষকদের বরাত দিয়ে 'চেঁচিয়ে' বলেন, 'ব্যালটে ট্রাম্পের নাম ছিল না। পাশাপাশি, শাটডাউন এখনো চলছে। আজ রাতের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হেরে যাওয়ার দুইটি কারণ এগুলোই।'
সমাজমাধ্যমে ইংরেজিতে সব বর্ণ ক্যাপিটাল লেটারে লিখলে সেটাকে চেঁচানো হিসেবে ধরে নেন নেটিজেনরা। দীর্ঘদিন ধরে এই অলিখিত নীতি সবাই মেনে নিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ট্রাম্পের জন্য এসব নির্বাচন ছিল 'অগ্নি পরীক্ষা'। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম বড় কোনো রাজনৈতিক পরীক্ষামূলক নির্বাচন এগুলো।
যদিও নির্বাচনগুলোর ব্যালটে ট্রাম্পের নাম ছিল না। কিন্তু এসব নির্বাচনে তাকে 'অদৃশ্য প্রার্থী' হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল।
অপরদিকে, আজ বুধবার মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের শাটডাউন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে টানা ৩৫ দিন শাটডাউনের রেকর্ড ভেঙে চলমান শাটডাউন ৩৬তম দিনে পা দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শিগগির এই অচলাবস্থার নিরসন না হলে আগামী ছুটির মৌসুমে (থ্যাংকসগিভিং ও ক্রিসমাস) আকাশপথে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক মার্কিনীরা বড় দুর্ভোগ পোহাবেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম বড় আকারে বন্ধ আছে। মার্কিন কংগ্রেসে অর্থায়ন বিল পাসে একমত হতে পারেনি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা। ফলে এই 'শাটডাউনের' সূত্রপাত।
এ বছর থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটি ২৭ নভেম্বর। ওই ছুটিকে ঘিরে দেশের ভেতরে ৫৮ লাখ মানুষ উড়োজাহাজে ভ্রমণ করবেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন (ট্রিপল এ)।
শাটডাউনের জেরে ৬০ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও যোগাযোগ নিরাপত্তা প্রশাসন (টিএসএ) কর্মকর্তা বিনা বেতনে কাজ করছেন।
বিনা বেতনে কাজ করার পরিবর্তে অনেক কর্মী অসুস্থতার কথা বলে কর্মস্থল এড়িয়ে চলছেন। আবার অনেকে 'অবৈতনিক ছুটি' নিয়ে বিকল্প কাজ খোঁজার চেষ্টায় আছেন। এর ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে।
তবে এখনো দুই দলের মধ্যে বাজেট নিয়ে ঐকমত্য দেখা দেয়নি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ট্রাম্পের। আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হতে পারে।


Comments