ভেনেজুয়েলার নৌকায় দ্বিতীয় দফায় হামলার নির্দেশ ছিল মার্কিন নৌ কমান্ডারের

হোয়াইট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন নৌবাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় দ্বিতীয় দফা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সোমবার বলেন, অ্যাডমিরাল (ফ্র্যাঙ্ক) ব্র্যাডলি হামলার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ক্ষমতা ও আইনের মধ্যেই কাজ করেছেন। 

তিনি জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ হামলার অনুমোদন দিলেও ওয়াশিংটন পোস্টে যেমন বলা হয়েছে, তিনি সবাইকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন— এমনটা নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, 
নৌকায় প্রথম বিস্ফোরণের পর দুই ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় জ্বলতে থাকা নৌকায় আঁকড়ে ছিলেন, আর ওই অবস্থাতেই দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়।

এই ঘটনার প্রতিবেদন নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলের আইনপ্রণেতারাই উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং কংগ্রেসে এ নিয়ে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস ব্রিফিংয়ে লেভিট বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন— প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তালিকাভুক্ত মাদক-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে যুদ্ধ আইন অনুযায়ী প্রাণঘাতী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে হামলার আওতায় আনা যেতে পারে।

প্রথম হামলায় দুজন বেঁচে ছিলেন কি না, কিংবা দ্বিতীয় হামলাটি তাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছিল কি না—এসব বিষয় নিশ্চিত করেননি।

২ সেপ্টেম্বরের ওই অভিযানে নৌকায় থাকা সবাইকে হত্যা করার নির্দেশ হেগসেথ দিয়েছিলেন— মিডিয়ার এমন প্রতিবেদন ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত হামলাগুলোর বৈধতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

এই অভিযোগ নাকচ করে হেগসেথ বলেছেন, এসব দাবি মনগড়া, উসকানিমূলক ও মানহানিকর। সোমবার তিনি এক পোস্টে লেখেন, অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি আমেরিকান নায়ক, সত্যিকারের পেশাদার কর্মকর্তা এবং তার প্রতি আমার শতভাগ সমর্থন রয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ২ সেপ্টেম্বরের মিশনসহ সব অভিযানে তার দেওয়া সিদ্ধান্তের পাশে আমি আছি।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে এবং ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার উপকূলের আন্তর্জাতিক জলসীমায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। এটি তারা মাদকবিরোধী অভিযান বলে উল্লেখ করছে।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এসব অভিযানে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক বহনকারী নৌকাগুলো ধ্বংস করা আত্মরক্ষার অংশ।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Justice Refaat Ahmed July revolution statement

July revolution did not seek to overturn constitution: Chief Justice

Outgoing CJ Refaat says movement aimed to purify constitutional engagement

1h ago