অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

কখন থেরাপিস্টের কাছে যাবেন

ছবি: সংগৃহীত

মানুষের জীবনে 'অ্যাংজাইটি' অথবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। ছোটবেলায় পরীক্ষার আগে কিংবা এখনো প্রেজেন্টেশন অথবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে স্বাভাবিকভাবে আমাদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।

এর কারণ হলো আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কোনো গুরুত্বহীন জিনিসের জন্য কখনোই আমাদের অ্যাংজাইটি হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই উদ্বেগ আমাদের নিজেদের আরও ভালো, নিজেদের আরও উন্নত করতে সাহায্য করে এবং আমাদের স্বাভাবিক জীবনে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে না ততক্ষণ পর্যন্ত অ্যাংজাইটি তেমন খারাপ কিছু নয়।

তবে যখনই মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগ শুরু হয় এবং এর কারণে আমাদের কাজ আরও নষ্ট হতে শুরু করে তখন সেটা আর স্বাভাবিক থাকে না।

এই বিষয়ে কথা বলেছেন ইন আ সার্কেল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির রেজিস্টার্ড বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট নাসরিন সুলতানা শিলা। তার মতে, যে বিষয়গুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি সে বিষয়ে সবসময়ই আমাদের একটা টেনশন, কি হবে-না হবে, একটু নার্ভাসনেস কাজ করে।

'সবারই মূলত অ্যাংজাইটি হয়েই থাকে। এটা স্বাভাবিক কিন্তু যখনই এই অ্যাংজাইটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তখন তার প্রতি আমাদের আলাদা করে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন,' বলেন তিনি।

হঠাৎ করে ঘাম দেওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, পায়ের পাতা ঘেমে যাওয়া, হাতের তালুতে ঘাম, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া- এগুলো কিন্তু অ্যাংজাইটির খুব সাধারণ লক্ষণ।

বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট নাসরিন বলেন, 'সেই সময় যদি নিজেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো। এছাড়াও নিজের মনে সাহস আনতে হবে। আপনি যা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে আপনারই এগিয়ে যেতে হবে।'

'ধরুন আপনার প্রেজেন্টেশন ভালো হয় না বলে প্রতিবার প্রেজেন্টেশনের আগে আপনি অ্যাংজাইটি অনুভব করেন সেক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন। আয়নার সামনে, বন্ধুদের সামনে বারবার অনুশীলন করুন। তাতে আপনার নিজের মাঝেই একটা সাহস চলে আসবে এবং আপনার অ্যাংজাইটি কমে যাবে। আগে নিজের অ্যাংজাইটির কারণ বের করতে হবে এবং তারপর সে কারণের উপর কাজ করতে হবে,' বলেন তিনি।

তাছাড়া যখনই অ্যাংজাইটি অনুভব করবেন তখনই বসে গুণে গুণে নিঃশ্বাস নিন। এতে আপনার মনোযোগ সরে যায়। সঙ্গে আপনাকে ঠান্ডা করতে পারে এমন কোনো মিউজিক শুনুন অথবা পেইন্ট করুন, লিখুন। তাৎক্ষণিক সলিউশন হিসেবে এগুলো ভালো কাজে দেবে।

তিনি আরও বলেন, 'যদি আপনার সঙ্গে প্রায়ই একই ঘটনা ঘটতে থাকে এবং আপনি কোনোভাবেই এর থেকে বের হতে পারছেন না অনুভব করেন তবে অবশ্যই একজন কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার অ্যাংজাইটির কারণ বের করে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে আপনাকে উনি সাহায্য করবেন। কখনোই হেলাফেলা করবেন না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago