রুমা-থানচি-রোয়াংছড়িতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ

ছবি: স্টার

বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কোনো প্রকার পর্যটক বহনকারী গাড়ি, নৌ চলাচল করা যাবে না।

এছাড়া, ওই এলাকার পর্যটন স্পট ও কটেজ খোলা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং পর্যটকদের কোনো স্পটে না নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট গাইডদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে ২ ও ৩ তারিখ রুমা ও থানচি উপজেলায় তিন ব্যাংকে ডাকাতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং এক ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। 

চলমান অভিযানের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হলো।

বান্দবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সম্প্রতি রুমা ও থানচি উপজেলায় তিন ব্যাংকে ডাকাতি ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ঈদ ও বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

তবে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি-এই চার উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের যাতায়াতে বা ভ্রমণে বাধা থাকছে না বলে জানান জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, 'আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক মিটিংয়ে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'

ঈদের পর দেশের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা ইতোমধ্যে বান্দরবন জেলায় যাওয়া শুরু করেছেন। 

জেলার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুকি-চিন ফ্রন্টের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পর জেলায় পর্যটকদের অনেকে তাদের বুকিং বাতিল করেছেন। 

মূলত, নববর্ষ উপলক্ষে চাকমা-মারমাসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম উৎসব বৈসাবি, বিজু বা সাংগ্রাই উপলক্ষে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে বান্দরবানে।

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

6h ago