প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদনে ইউপিএল-এর ৫০ বছর

ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর থেকে দুটি বিষয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কখনই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারেনি। এক, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা; দুই, বাংলা ভাষায় উচ্চমানের গবেষণা নিশ্চিত করা। ফলে বাংলাদেশের একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা ও গবেষণার যে বিষয়বস্তু তা কখনই বাংলাদেশমুখী ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করা নিশ্চিত করা যায়নি। ইংরেজি ভাষায় বইপত্র ও গবেষণা প্রামাণিক হিসেবে চলে আসছে এত বছর।

বাংলাদেশের একাডেমির বিদ্যমান পড়াশোনা ও গবেষণার বিষয়বস্তু বাংলাদেশের নিজস্ব সমাজ, রাজনীতি, প্রতিষ্ঠান, আইন, সংস্কৃতি, অর্থনীতি হলেও তা যথাযথ পর্যায়ে চর্চা করা সম্ভব হয়নি। কেননা, পড়াশোনা ও গবেষণার ভাষা ও মাধ্যম ইংরেজি ভাষা।

যেকোনো বিদ্যা, বয়ান, চিন্তা, তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করা ও সেটাকে আমলে নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করার একটি মুখ্য পদ্ধতি হলো প্রতিষ্ঠান। সেই হিসেবে বাংলাদেশের একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষায় জ্ঞান উৎপাদন কখনই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়নি।

ইংরেজি একটি বৈশ্বিক ভাষা। বৈশ্বিক চাহিদার জায়গা থেকেই ইংরেজির চর্চা অ-ইংরেজ দেশেও হয়। কিন্তু, উন্নত রাষ্ট্রের বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় বিদ্যা চর্চার কোনো বিকল্প নেই।

অ-ইংরেজ দেশগুলোতেও সেই সব দেশের মাতৃভাষায় প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে শক্তভাবে পড়াশোনা ও জ্ঞান চর্চা হয়। তার পাশাপাশি তারা ইংরেজিতে জ্ঞান উৎপাদন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটেছে উল্টো।

পৃথিবীতে পড়াশোনা ও গবেষণার প্রধান উৎস হলো টেক্সট অর্থাৎ বই। ফলে, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বড় বড় প্রকাশনাগুলো টিকে থাকে মূলত বিভিন্ন একাডেমিক টেক্সট ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর টেক্সট উৎপাদন করে। বাংলাদেশেও এই ঘটনা বিরল। খুবই স্বাভাবিক। কারণ, এখানে একাডেমিক টেক্সট বাংলা না বরং ইংরেজি।

ফলে, গোঁড়াতেই গলদ। এখানের একাডেমিক শিক্ষার মাধ্যম যেহেতু ইংরেজি টেক্সট, ফলে ইংরেজি টেক্সটগুলো তো প্রকাশনীগুলো উৎপাদন করবে না। ঠিক এখানেই প্রকাশনীগুলোর যে শিল্প হয়ে ওঠা সেই পদ্ধতি বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে, এখানে একাডেমিক লোকজন বাংলায় একাডেমিক বই রচনা করলেও তা আবার তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানো হয় না। কারণ, বাংলা বই তো একাডেমিতে পাঠ্য নয় (বাংলা বিভাগ ছাড়া)।

এখানকার বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে যত বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণাধর্মী বই রচিত হয় তা বেশিরভাগই অ-একাডেমিক পরিসরে পঠিত ও রচিত। এখানকার বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা প্রতিষ্ঠান দ্বারা উৎপাদিত নয় এবং একইসঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক ও তাত্ত্বিক টেক্সট একাডেমিক প্রতিষ্ঠান-কেন্দ্রিক নয়।

যার ফলে, একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা, বই-পুস্তক, গবেষণার সঙ্গে এখানকার প্রকাশনা শিল্প ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সম্পর্ক নেই বললেই চলে। এই বিচ্ছিন্নতা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতভিত্তিক বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণামাফিক সমস্যা সমাধানের অন্তরায়ই শুধু নয়, একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প ও তত্ত্ব, তথ্য, গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে এক চরম প্রতিবন্ধকতা।

এই বিচ্ছিন্নতা, প্রতিবন্ধকতা, সংকটকে মোকাবিলা করা ও স্ব-উদ্যোগে বিকল্প কিছু করার ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)।

সত্তরের দশকে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই সৃজনশীল ও ফিকশন-কেন্দ্রিক প্রকাশনার দিকে হাটেনি। বরং, একাডেমিক গবেষণা, সামাজিক বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি, উন্নয়ন ভাবনা—এই তুলনামূলক সংকীর্ণ কিন্তু গভীর ক্ষেত্রকে নিজের মূল পরিসর হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলে এর পাঠক সংখ্যা হয়তো কখনোই ব্যাপক ছিল না, কিন্তু যারা পড়েছেন, তারা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও চিন্তাশীল পাঠক।

প্রকাশনা হিসেবে ইউপিএলের সবচেয়ে বড় সাফল্য এই যে, এটা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক, গবেষণা ও তাত্ত্বিক কার্যক্রমের সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রমের একটা সমন্বয় ঘটাতে পেরেছে। যদিও এই সমন্বয় বাংলাদেশের সামগ্রিক জ্ঞান চর্চার যে প্রাতিষ্ঠানিক সংকট তাকে পূর্ণ মাত্রায় সমাধান করতে পারেনি। কিন্তু, একটি প্রকাশনা হিসেবে ইউপিএলের নিজস্ব পরিসর থেকে এই সমন্বয় আমার মতে এটাকে নেহাত প্রকাশনার চরিত্র থেকে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করেছে।

শুরুর দিকে ইউপিএলের এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রকাশনা উদ্যোগগুলো ইংরেজি ভাষায় ছিল। কিন্তু, ধীরে ধীরে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন খাত, ইস্যু, সংকটভিত্তিক নানা রকমের গবেষণাধর্মী টেক্সট ইউপিএল উৎপাদন করেছে।

ছবি: সংগৃহীত

আগেই উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশের নিজস্ব বহু সমস্যা, সংকট, ইস্যু, প্রতিবন্ধকতা কেন্দ্র করে যে সামাজিক পরিসরে বহু বাহাস, তর্ক, তত্ত্ব, বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ, গবেষণা হয়েছে কিন্তু এগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের একাডেমির সম্পর্ক নেই বললেই চলে। কিন্তু ইউপিএলের এখানে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।

রাজনৈতিক আন্দোলন, রাষ্ট্রীয় সংকট, সামরিক শাসন, উন্নয়ন বিতর্ক, শ্রেণি ও বৈষম্য—এই বিষয়গুলোর ওপর চিন্তা–ভাবনা বহু সময়েই গড়ে উঠেছে সাংবাদিকতা, অ্যাক্টিভিজম, এনজিও পরিসর, নীতিনির্ধারণী বিতর্ক কিংবা ব্যক্তিগত গবেষণার ভেতর। কিন্তু এই চিন্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে একটি সমস্যায় ভুগেছে—প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও টেকসই টেক্সটে রূপ নেওয়ার সংকট।

এই জায়গাটিতেই ইউপিএল একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। ইউপিএল এমন এক প্রকাশনা পরিসর তৈরি করেছে, যেখানে একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে গড়ে ওঠা তত্ত্বচর্চা ও বিশ্লেষণ একাডেমিক মানদণ্ডে রূপান্তরিত হয়ে টেক্সট আকারে প্রকাশিত হতে পেরেছে। অর্থাৎ, এটি একদিকে একাডেমির কঠোর নিয়ম মানিয়েছে, অন্যদিকে একাডেমির বাইরের চিন্তাকে অবমূল্যায়ন করেনি।

আবার একইসঙ্গে, বাংলাদেশে বহু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি থিসিস বা জার্নাল আর্টিকেল হিসেবে শুরু হয়নি। বরং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা, নীতিগত বিশ্লেষণ, আন্দোলন–ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ কিংবা দীর্ঘ সাংবাদিক অনুসন্ধান থেকে তত্ত্ব নির্মাণ হয়েছে। ইউপিএল এই ধরনের কাজকে 'অ-একাডেমিক' বলে বাতিল করেনি। বরং শক্ত সম্পাদনা, রেফারেন্সিং ও কাঠামোগত পরিশীলনের মাধ্যমে এগুলোকে একাডেমিকভাবে গ্রহণযোগ্য টেক্সটে রূপ দিয়েছে।

এর ফলে, বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা থেকে উৎপন্ন জ্ঞান একাডেমিক পরিসরে ঢোকার সুযোগ পেয়েছে, আবার একাডেমিও তার বাইরের বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হলো, বাংলাদেশের একাডেমিক পরিসর দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা তত্ত্ব আমদানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। রাষ্ট্র, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, সিভিল সোসাইটি, সংবিধান, অভিবাসন, সুরক্ষা নীতি, প্রশাসন তত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞানের নানা বিষয়কে ব্যাখ্যা করা হতো পশ্চিমা একাডেমিক টেক্সট ও তত্ত্বের আলোকে। ইউপিএল-এর প্রকাশনায় ধীরে ধীরে এমন এক ধারা তৈরি হয়, যেখানে স্থানীয় অভিজ্ঞতা, ইতিহাস ও রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে তাত্ত্বিক প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়।

এই বইগুলো হয়তো সবসময় 'সাধারণ বা বৈশ্বিক তত্ত্ব' তৈরি করেনি, কিন্তু তারা স্থানীয় নানা অভিজ্ঞতা, গবেষণা, পর্যবেক্ষণ, সার্ভের আলোকে নতুন চিন্তা হাজির করেছে—যা একাডেমিক পাঠ্যসূচি ও গবেষণায় ব্যবহারযোগ্য হয়েছে।

এর মাধ্যমে ইউপিএল স্থানীয় জ্ঞানকে তত্ত্বচর্চার আলোচনায় ঢুকানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের নিজস্ব সংকট, ইস্যু ও অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত নতুন নতুন চিন্তা বৈশ্বিক পরিসরে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে ইউপিএল একক ভূমিকা পালন করে আসছে।

আবার সেইসঙ্গে বৈশ্বিক পরিসর থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক নতুন নতুন গবেষণা, চিন্তা, তত্ত্বগুলোকে যথাযথ রূপে আনয়ন করার ক্ষেত্রে ইউপিএল একক স্থান ধরে আছে। বাংলা ভাষার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাকে একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও ইউপিএল একটি একক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যাবতীয় কার্যক্রম বিবেচনায় ইউপিএলকে নেহাত একটি প্রকাশনা বলে সীমাবদ্ধ করা অনুচিত। এটি কেবল একটি প্রকাশনা নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক বুদ্ধিবৃত্তিক সংকট ও সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনীভূত এক বিচ্ছিন্নতাকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ইউপিএল সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে।

প্রকাশনা হিসেবে ইউপিএল কেমন সেটার বিচার করার মতো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি আমার নেই, কিন্তু প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউপিএলের প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

প্রকাশনা হিসেবে সীমাবদ্ধ না থাকা ইউপিএল সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চরিত্র লালন করে এসেছে বহু বছর যাবত। তবে, একইসঙ্গে এর নানা রকম সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। আমার মতে, এই সীমাবদ্ধতাগুলো প্রকাশক ইউপিএল-এর নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ইউপিএল-এর। সেটার কারণ সে নিজেকে প্রকাশক হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়নি, বরং তার প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির জায়গা থেকে বিদ্যমান বুদ্ধিবৃত্তিক ও নানা রকম সামাজিক-বৌদ্ধিক সংকটকে সমাধানের লক্ষ্যে সামাজিক মূলধারায় তার যে প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান তার ফলেই হয়েছে।

এই প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতাকে আমি ইউপিএল-এর দুর্বলতা মনে করি না, বরং এটাকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউপিএল-এর ত্যাগ ও বিশ্বস্ততা হিসেবে গণ্য করি। ইউপিএল-এর প্রকাশনার বড় অংশ ইংরেজিভাষী এবং শহুরে একাডেমিক পাঠককেন্দ্রিক। ফলে বাংলাভাষায় তাত্ত্বিক সামাজিক বিজ্ঞান বা সাধারণ পাঠকের জন্য সহজবোধ্য গবেষণাধর্মী বইয়ের পরিসর তুলনামূলকভাবে সীমিত থেকেছে।

এটাও সত্য, বাংলাদেশের একাডেমিক প্রকাশনার সামগ্রিক বাস্তবতায় ইউপিএল যা করেছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই পথপ্রদর্শক। ফলে, এই সময়ের একজন তরুণ হিসেবে ইউপিএল-এর ঐতিহাসিক যাত্রা, গতিপথ, ভূমিকা এবং এই পর্যন্ত আসাকে আমি সামগ্রিক সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা থেকে লক্ষ্য করি।

বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদন, একাডেমির সঙ্গে সেটার সেতুবন্ধন, অ-একাডেমিক কিন্তু অত্যন্ত জরুরি জ্ঞানকে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানগত পরিসরে আনয়ন, বাংলা ভাষায় গবেষণাচর্চাকে ত্বরান্বিতকরণ, বৈশ্বিক পরিসরের জ্ঞানকে দেশীয় পরিসরে এবং দেশীয় জ্ঞানকে বৈশ্বিক পরিসরে প্রেরণ, তরুণ লেখক ও গবেষকদের উৎসাহ প্রদান করা এবং দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনের সঙ্গে দেশের বিদ্যমান একাডেমির মেলবন্ধন করাসহ এই সবকিছু ইউপিএল-এর এত বছরের অর্জন বলে মনে করি।

প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়ম, বিষয়বস্তু, স্থান এবং চর্চার আক্ষরিক মান বহন করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ৫০ বছরের মাথায় এসে ইউপিএল আজ শুধু বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের একটি উচ্চমানের প্রতিষ্ঠান নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কেমন ভূমিকা পালন করা উচিৎ সেটারও এক মূর্ত প্রামাণ্য বটে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body taken to Parliament Complex ahead of janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

2h ago