৩ বছর পর বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য খুলল চীনের সীমান্ত

কোয়ারেন্টিন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, করোনাভাইরাস, চীন,
কোয়ারেন্টিন তুলে নেওয়ার পর বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ৮ জানুয়ারি, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

২০২০ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর প্রথমবারের মতো চীন আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় সীমান্ত খুলে দিয়েছে।

আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে প্রবেশ করা যাত্রীদের আর কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে করোনা নীতিতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

তবে, বিদেশি যাত্রীদের এখনো ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নেওয়া একটি নেগেটিভ পিসিআর পরীক্ষার প্রমাণ লাগবে।

সীমান্ত খুলে দেওয়ায় পরিবারের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে আগ্রহী অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী কয়েক সপ্তাহে হংকং, বেইজিং এবং জিয়ামিনসহ ৪ লাখ মানুষ চীনের মূল ভূখণ্ডে ভ্রমণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, গত ৫ বছরে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তিনি চীন ভ্রমণের জন্য ইতোমধ্যে টিকিট কিনেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক নারী বলেন, কয়েক বছর ধরে মা-বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি তার। তাদের একজন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে, চীন ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ায় তিনি খুশি।

হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতুর স্থানীয় কয়েকজন বাসচালক বিবিসিকে বলেন, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়াতে পারে, এজন্য তারা উদ্বিগ্ন। তারা চান তাদের কোম্পানি যেন আরও সুরক্ষার ব্যবস্থা করে।

বিবিসি বলছে, গত ৩ বছর ধরে চীনে বিশ্বের অন্যতম কঠোর করোনা স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলেছে। যা দেশটির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। শিনজিয়াং অঞ্চলের একটি বহুতল ব্লকে আগুন লেগে ১০ জন নিহত হওয়ার পর সারা দেশে গণবিক্ষোভের পর সরকার সম্প্রতি সেই নীতি শিথিল করেছে। অনেক চীনা বিশ্বাস করেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান করোনা বিধিনিষেধগুলো এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও চীনা কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

চীন জিরো কোভিড নীতির প্রধান নিষেধাজ্ঞাগুলো বাতিলের পর থেকে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। তবে, তারা দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করেছে এবং শনিবার দেশটি মাত্র ২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

চীনে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ সেখান থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য করোনা পরীক্ষার বিধি বাধ্যতামূলক করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago