ভারতে ভোট গণনাকালে শেয়ারবাজারে ধস, সূচকের পতন ৫ হাজার পয়েন্টেরও বেশি

এক দিনেই ভারতের শেয়ার বাজার ৫ হাজার পয়েন্ট সূচকের পতন দেখেছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
এক দিনেই ভারতের শেয়ার বাজার ৫ হাজার পয়েন্ট সূচকের পতন দেখেছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

আজ লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণার মাঝে ভারতের শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। এক দিনেই কমেছে পাঁচ হাজারেরও বেশি সূচক পয়েন্ট।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতের পূঁজিবাজারের সেনসেক্স সূচক ছয় দশমিক ৭১ শতাংশ বা পাঁচ হাজার ৬০২ পয়েন্ট কমে ৭১ হাজার ২ হয়েছে। এনএসই নিফটি ৫০ সূচক ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা এক হাজার ৬৩৪ পয়েন্ট কমেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ পয়েন্টের পতন।

২০২০ সালের মার্চে সর্বশেষ এরকম ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে।

প্রাথমিক ভোট গণনায় এগিয়ে আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জোটি এনডিএ। প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল করলেও কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট বেশ খানিকটা পিছিয়ে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,  মোদির এনডিএ জোট ২৯৮ আসনে এগিয়ে। অপরদিকে রাহুলের ইন্ডিয়া ব্লক ২২৫ আসনে এগিয়ে।

ভারতের পুঁজিবাজারের প্রাণকেন্দ্র বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভারতের পুঁজিবাজারের প্রাণকেন্দ্র বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২৭২ আসন পেলেই ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আবারও সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপি।

প্রায় সব খাতের প্রতিষ্ঠানই শেয়ার বাজারে মূল্য হারিয়েছে।  ব্যাংক খাত ৭.৮%, আবাসন ৯.১%, অবকাঠামো ১০.৫%, তেল ও গ্যাস ১১.৭% ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক যথাক্রমে ১৭ ও ১৬% মূল্য হারিয়েছে।

সবচেয়ে বেশি মূল্য হারানো ৩০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, রিলায়েন্স, লারসেন অ্যান্ড টাউব্রো, পাওয়ার গ্রিড, এনটিপিসি, এইচডিএফসি ব্যাংক।

উইলিয়াম ও'নিল অ্যান্ড কোম্পানির ইকুইটি গবেষণার প্রধান মাইয়ুরেশ যোশি বলেন, 'ফলাফলের চলতি ধারা (বিজেপির জোটের এগিয়ে থাকা) অব্যাহত থাকবে না আরও কমবে, সেটা নিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমন কী, এই ধারা অব্যাহত থাকলেও কিছু পরিমাণ হতাশার সৃষ্টি হবে কারণ তা ইতোমধ্যে বাজারের প্রত্যাশিত ফলের চেয়ে কম।'

Comments

The Daily Star  | English

Trump won't say if US will strike Iran, but says it's 'late to be talking'

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago