ঋণ নিয়ে আলোচনায় বেইজিংয়ে শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি চীনা নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উন্নয়ন ও জ্বালানি প্রকল্পে প্রধান বিনিয়োগ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের সড়ক, রেল ও সমুদ্রপথের উন্নতির জন্য কাজ করছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামাবাদ এবং বেইজিংকে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শরিফ তার সফরে নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শাহবাজ শরিফের একজন ভ্রমণসঙ্গী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এপ্রিলে দায়িত্ব গ্রহণের পর শাহবাজ শরিফের এটিই প্রথম বেইজিং সফর। সফরে শরিফ চীনের কাছ থেকে কিছু ঋণসহায়তা চাইবেন।

পাকিস্তানের ২৭ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় ঋণের বৃহত্তম অংশ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার চীনা ঋণ।

সম্প্রতি পাকিস্তানে বিধ্বংসী বন্যা আঘাত হানার আগে থেকেই পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছিল। ফলে, আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।

শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি সেখানে থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি শি এবং অন্যান্য চীনা নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করবেন। চীনা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অন্যান্য অনেক কিছুর মধ্যে সিপিইসিকে পুনরুজ্জীবিত করার দিকে মনোনিবেশ করবেন তিনি।

শরিফের সরকার অভিযোগ করেছিল, বহিষ্কৃত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে সিপিইসি প্রকল্পের গতি হ্রাস করা হয়েছিল, যদিও পরে তা অস্বীকার করা হয়। শরিফের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন অর্থ ও জ্বালানি মন্ত্রী।

পাকিস্তান এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সমস্যা হ্রাস করতে দ্বিপক্ষীয় ঋণসহায়তা চাইবে। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিংয়ের কাছে এই ধরনের সাহায্য চাইবে কিনা তা নিয়ে কোনো সরকারি ঘোষণা দেয়নি।

রয়টার্স বলছে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। যা দেড় মাসের আমদানির জন্য যথেষ্ট নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt working to deliver inclusive, credible election: Yunus

The new UN mission in Dhaka will provide technical support for reform initiatives, as well as capacity-building, says CA

14m ago