বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ৪ দিন পর ১০ জেলে উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ১৫ জেলের মধ্যে ১০ জনকে চারদিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ আছেন পাঁচ জেলে।
আজ মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধারকৃতদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, 'নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।'
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের সাগর (২২), সাগর-২ (৩৩), রাজিব (২৫), রাহাত (৩৩), ইব্রাহিম (২৬), আলীপুরের হাসান আকন (৩৩) ও বালিয়াতলীর হাসান (৩০), বরগুনার আমতলী উপজেলার রফিক (৪০), হারুন (২৭) ও নোয়াখালীর হারুন (৪৫)।
তাদের মধ্যে রাজিব, রফিক ও রাহাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
তবে কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ গ্রামের ইদ্রিস, কালাম, নজরুল, মাঝি আব্দুর রশিদ ও গিয়াস উদ্দিন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে মাঝি আবদুর রশিদ ইলিশ মাছ ধরতে ১৫ জন জেলে নিয়ে মহিপুর থেকে গভীর সমুদ্রে যান। শুক্রবার সকালে জাল ফেলার পর হঠাৎ ঝড় ও ঢেউয়ের তাণ্ডবে ট্রলারটি ডুবে গেলে জেলেরা সাগরে ভাসতে থাকেন। পরে সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় নয় জেলেকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে।
জীবিত উদ্ধার জেলে হাসান আকন বলেন, '২৪ জুলাই ১৫ জেলে একটি ট্রলারে মাছ ধরার জন্য গভীর সাগরে যাই। হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে আমাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। আমরা লাইফ জ্যাকেট ও ভাঙা ফ্লোট ধরে অনেক কষ্টে সাগরে ভেসে থাকি। অবশেষে দুটি ট্রলারের মাধ্যমে আমাদের উদ্ধার করা হয়।'
Comments