উত্তরা থেকে ‘তুলে নেওয়া’ নুরুলকে ‘কক্সবাজারে গ্রেপ্তার’

নুরুল আফসার হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

গত ২২ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) পরিচয়ে সাদা পোশাকে উত্তরা থেকে নুরুল আফসার হাওলাদারকে (৪০) তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার প্রায় ৩ সপ্তাহ পর তাকে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, কলাতলি সমুদ্র সৈকতে নুরুলকে দেখতে পায় র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় শনিবার রাতে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়।

গত শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারে 'সাদা পোশাকে ১৪ দিন আগে তুলে নেওয়া নুরুলের খোঁজ মিলছে না' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আফসারের অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় যে তাকে সাদা পোশাকে একটি দল তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল ওসি রফিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নুরুলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আশাশুনি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সহিংসতা ও হামলার ২টি মামলা রয়েছে।

তবে, গতকাল গভীর রাতে র‌্যাব-১৫ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুরুল ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২টি মামলার আসামি।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তিনি যুবকদের উগ্রপন্থী করে তুলতেন এবং বাঁশখালীতে এর জন্য নুরুল একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, দেশে ফিরে তিনি আমির হামজা ব্রিগেড নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য যুবকদের পুনর্গঠিত করতে চাইছিলেন। তিনি এর আগে ২০০৯ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়ে ১ মাস কারাগারে ছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী নুরুলকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

তিনি বলেন, 'র‌্যাবের ইউনিফর্ম পরা কেউ ছিল না এবং ফুটেজে আমাদের বাহিনীর সদস্যদের কারো সঙ্গে মেলে এমন কাউকে না পাওয়া যায়নি। এটা অন্য কোনো বাহিনী হতে পারে।'

তিনি দাবি করেন, 'এমনও হতে পারে যে, নুরুল পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিল আত্মগোপনে যাওয়ার জন্য। কারণ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Vegetable prices skyrocket as erratic rain ravages croplands

Consumers and farmers are bearing the brunt of the radical shift in weather patterns as crops are damaged and retail prices skyrocket.

14h ago