শিশু আয়াতের দেহের আরেক অংশ উদ্ধার

আলিনা ইসলাম আয়াত। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ৫ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মাথা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর আউটার রিং রোড এলাকার আকমল আলী ঘাটের খালের অংশ থেকে অর্ধগলিত ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার আয়াতের দুই পায়ের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোজ দে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসামি আবীরের দেখানো জায়গায় খালের অংশবিশেষ সেচ করে মাথাটি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এখন এটি ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠাবো।'

হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু আয়াত ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহরের বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল। গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে বের হয় আয়াত। তারপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে তার পরিবার।

পরে ২৫ নভেম্বর পিবিআই জানায়, 'মুক্তিপণের' জন্য আয়াতকে অপহরণ করে খুন করেছে তাদের এক ভাড়াটিয়ার ১৯ বছরের ছেলে আবীর আলী। শিশুটিকে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয় সে।

যার কিছু অংশ আকমল আলী রোডের স্লুইচ গেইটের একটি নালায়, আর কিছু অংশ সাগরে ফেলার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আবীর।

ওই দিন তাকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করে। আর পরের রাতে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় শনিবার প্রথম দফায় ২ দিনের রিমান্ডে আবীরকে নিয়ে শিশু আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।

আবীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার আরেক বন্ধু হাসিবকেও আটক করে পিবিআই। হাসিব চায়ের দোকানে কাজ করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আবীরের বাবা-মা এবং বোনকে হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়ায় মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

SC seeks EC's statement over declaring Ishtiaque as DSCC mayor

The apex court also fixed tomorrow for resuming the hearing on the matter

13m ago