ফারদিন হত্যা মামলা: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রোববার

ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদনের আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭-এর বিচারক তাহসিন ইফতেখার জামিন আবেদনের শুনানি করে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

ফলে আমাতুল্লাহ বুশরাকে রোববার পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

আজ দুপুরে জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

শুনানিকালে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, বুশরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। গত ১৫ ডিসেম্বর ডিবি ও র‌্যাব আলাদা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে যে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।

ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানাও শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন এবং বুশরার জামিনে তার আপত্তি আছে বলে জানিয়েছেন।

তবে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এই মামলায় বুশরা প্রধান আসামি। ঘটনার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি ফারদিনের সঙ্গেই ছিলেন। ২ পক্ষের বক্তব্য শেষে আদালত বিকেলে আদেশ দেবেন বলে জানান।

এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের পর পুনরায় জামিন আবেদন করেন বুশরা। এরপর এ মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ১৬ নভেম্বর বুশরার ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর জামিন আবেদন খারিজ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করার ২ দিন পর গত ১০ নভেম্বর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারদিনের বন্ধু বুশরা ও অজ্ঞাত এক আসামি তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। বুশরা ও ফারদিন গত ৪ বছর ধরে পরিচিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Unveil roadmap or it’ll be hard to cooperate

The BNP yesterday expressed disappointment over the absence of a clear roadmap for the upcoming national election, despite the demand for one made during its recent meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus.

7h ago