সিলেট

নগর ভবন থেকে পাইপ পড়ে সেনাসদস্য নিহতের ঘটনায় সেনাবাহিনীর মামলা

সিলেট সিটি করপোরেশনের নগর ভবন। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবন থেকে পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সিলেটের কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আসামি করা হয়েছে নগর ভবনের সম্প্রসারণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারী জামাল উদ্দিন, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, জামাল অ্যান্ড কোম্পানির সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক ও ক্রেন অপারেটর মো. সাদেককে।

এ ছাড়াও জামাল অ্যান্ড কোম্পানির অজ্ঞাতনামা ব্যবস্থাপক ও অজ্ঞাতনামা ঠিকাদারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মামলায় সিসিক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও এক সদস্যকে মামলার আসামি করায় তাদের বাদ রেখে নতুন করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ বদরুল হককে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট) মো. মতিউর রহমান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ‍রিপন কুমার রায়, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) রজি উদ্দিন খান।

গতকাল শনিবার বিকেলে সিসিকের নগর ভবনের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ কাজ চলাকালীন ১২ তলা উপর থেকে একটি স্টিলের পাইপ নগর ভবনের পাশে সিটি সুপার মার্কেটে অবস্থানরত সেনা সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল দেলোয়ার হোসেনের মাথায় এসে পড়ে।

গুরুতর আহত দেলওয়ার হোসেনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago