তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মানহানিকর’ তথ্য প্রচার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইউটিউব চ্যানেলও আসামি

হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে 'ভুয়া, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর' তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে 'নাগরিক টিভি' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ৭ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে মামলায় আসামি হিসেবে খোদ ইউটিউব চ্যানেলটির নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক যুবলীগ নেতা নগরের চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

চ্যানেলটিসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চ্যানেলের এডিটর ইন চিফ নাজমুস সাকিব, এইচ এম কামাল, আজাদ সাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম ও মো. হারুন রশীদ। এছাড়া যারা ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজে প্রচারিত ওই নিউজ লিঙ্কে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন তাদেরকেও অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মো. আরিফুল ইসলাম (৩৬) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পরিচয়ে চকবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা এজাহার গ্রহণ করেছে এবং পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে।'

মামলার এজাহারে আরিফ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত নাজমুস সাকিব ইউটিউব ও ফেসবুকে তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে তথ্যমন্ত্রীর মানহানি করেছেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই ভিডিও ক্লিপের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ তাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

সেখানে আরিফ জানান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল নাগরিক টিভির সঙ্গে অনলাইন নাগরিক টিভির কোনো সম্পর্ক নেই। একইসঙ্গে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অন্য যারা লিঙ্কটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন, লাইক কিংবা কমেন্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে আরিফুল ইসলাম বলেন, 'ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্যে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অনেক কর্মী মনঃক্ষুন্ন ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তাই আমি সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Between dreams and debt

Excessive recruitment fees, low salaries, and permit costs trap Bangladeshi workers in Malaysia

15h ago