চনপাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০, গ্রেপ্তার ১৪

রূপগঞ্জের চনপাড়া। স্টার ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।

এতে ১ তরুণ গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযানে আটক ১৪ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হৃদয় হাসান (২২) চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৭ নম্বর গলির বাসিন্দা।

তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তার বাবা আব্দুল জলিল।

হাসানের একটি খাবারের দোকান আছে উল্লেখ করে আব্দুল জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার রাতে হোটেল বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে ২ পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় হাসান।'

সংঘর্ষে আহত বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চনপাড়ায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমসের আলী ও জয়নাল আবেদীনের মধ্যে বিরোধ আছে।

এর আগেও এই ২ গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে সোমবার রাতে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। 

খবর পেয়ে পুলিশ চনপাড়ায় অভিযান চালায়।

জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২ দিন ধরে চনপাড়ায় উত্তেজনা ছিল। গতরাতে মারামারিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি।'

১৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ওই এলাকায় ২টি চিহ্নিত মাদকের স্পট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।'

বর্তমানে চনপাড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন তিনি।

এর আগে গত ২৩ জুন দুপুরে চনপাড়ায় সমসের আলী ও জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জয়নালের ২ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় আহত হন উভয়পক্ষের আরও কয়েকজন।

ওই ঘটনার পর ২৪ জুন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকসহ ৯ মামলার আসামি মো. রায়হানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রায়হান সমসের আলীর অনুসারী বলে পরিচিত।

গত এপ্রিল ও মে মাসেও কয়েক দফায় জয়নাল ও সমসের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls returns to campus in style with exceptional voter turnout

It was 78% this time, a leap from 50-60% in the 1970s and ‘80s

52m ago