ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা: বরখাস্ত এএসআইসহ ৩ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি ৮ আগস্ট

আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত
আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার এক আদালত আজ ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ৩ জনের অভিযোগ গঠন শুনানির দিন পরিবর্তন করে ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন।

এরা হলেন- পল্লবী থানার এএসআই মাহবুব আলম, সোর্স (তথ্যদাতা) মোহাম্মদ রুবেল ও সোহেল রানা।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জামিনে মুক্ত থাকা ৩ অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য বাড়তি সময় চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে বলা হয়, এই ৩ আসামি অবৈধভাবে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করতেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খলিলকে গ্রেপ্তার করা এএসআই মাহবুব আলম অবৈধভাবে ১০০ পিস ইয়াবা বহন করছিলেন।

তার দুই তথ্যদাতা মোহাম্মদ রুবেল ও সোহেল রানা তাকে এ ধরনের অপরাধে সহায়তা করেছেন।

তার ২ সোর্স মোহাম্মদ রুবেল ও সোহেল রানা তাকে এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা করতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এএসআই মাহবুব এসআই কামরুল ইসলামকে মিথ্যা তথ্য দেন ও বানোয়াট জব্দ তালিকা তৈরি করেন।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যায়, ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের কাছে সাদা পোশাকে এএসআই মাহবুব খলিলকে থামিয়ে তাকে তল্লাশি করছেন।

সে সময় মাহবুব রুবেলের কাছ থেকে এক প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে খলিলের পকেটে ঢুকিয়ে দেন। এরপর তিনি খলিলকে ইয়াবাসহ ধরার দাবি করেন।

খলিলকে ৭ সেপ্টেম্বর কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

8h ago