কুলাউড়ায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আটক ১০, বিস্ফোরক-প্রশিক্ষণ সামগ্রী উদ্ধার

মৌলিভীবাজারের কুলাউড়া থানার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

অভিযান শেষে আজ শনিবার সকালে পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আটক ১০ জনের বাড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপক সংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিয়েছে। সেসব লোকজন হিজরতের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। শুরুতে আমাদের কাছে তথ্য ছিল মৌলভীবাজারের যে কোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি তৈরি করেছে। গতকাল আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই।'

কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

'ঢাকায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি, যিনি এই জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন,' জানান আসাদুজ্জামান।

'জঙ্গি আস্তানা' থেকে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এছাড়া ৩ শিশুও ছিল।'

সিটিটিসি প্রধান বলেন, 'বিনা বলপ্রয়োগে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের হেফাজতে নেওয়ার পরে আমরা জঙ্গি আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেটর উদ্ধার করি। যা দিয়ে গ্রেনেডসহ হাই এক্সপ্লোসিভ তৈরি করা হয়।'

'এছাড়া ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী; কমব্যাট বুট, বক্সিন ব্যাগ এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটি নতুন একটি সংগঠন, এর নাম "ইমাম মাহমুদের কাফেলা"। বাংলাদেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আছে, সেগুলোর বাইরে এটি একটি নতুন সংগঠন। এই সংগঠনের যে মূল ব্যক্তি তার নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি, তার পর্যন্ত পৌঁছাতে আমরা সক্ষম হবো।'

Comments

The Daily Star  | English

New public service ordinance: Govt mulls softening strict provisions

Say high-level meeting sources; Secretariat employees suspend protests for today

10h ago