অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে: বিজিবি মহাপরিচালক

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে: বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি আরও জানান, এদিন সকালে পানি পথে নৌকা নিয়ে নতুন করে ৬৫ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে, সে সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেছেন। তারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন সে ব্যাপারে বিজিবি সতর্ক আছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, 'আমরা ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক দিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা সে রকমই।'

তিনি বলেন, 'গতকাল রাত পর্যন্ত ১১৫ জন বিজিপি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য সদস্যরা আমাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আজ সকালে আরও ১১৪ জন যোগ হয়েছে। ২২৯ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন, পরবর্তীতে আজ দুপুরের মধ্যে আরও ৩৫ জন যোগ হয়ে বর্তমানে ২৬৪ জন আছেন।

'২৬৪ জনকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি, খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্যে আহত ১৫ জন ছিলেন, আটজন গুরুতর আহত। তাদের চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি চারজনকে চিকিৎসকের পরামর্শে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রহরা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, তাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, সেটা শিগগির হবে,' বলেন তিনি।

আশরাফুজ্জামান বলেন, 'গোলাগুলি হলে এদিকে কিছু শেল এসে পড়ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গতকাল একজন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি নারী নিহত হয়েছে। এই মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়, আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'গোপালগঞ্জে আসার পথে জানতে পেরেছি, ৬৫ জন রোহিঙ্গা নৌকায় পানি পথে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। টেকনাফ বিজিবি তাদের প্রতিহত করে পুশ ব্যাক করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা কোনো রোহিঙ্গাকে আর ভেতরে ঢুকতে দেবো না।'

Comments

The Daily Star  | English

Challenges in Policing: Police stations buckling under budget strain

The government also supplies police stations with some of the items they request each month, but only a portion of the demand is met.

12h ago