মুন্সীগঞ্জ

গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল গায়েব, খাদ্য পরিদর্শক আটক

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রসুলপুর খাদ্য গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল সরানোর অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রসুলপুর খাদ্য গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল সরানোর অভিযোগে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সফিউল আজমকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, 'চাল সরানোর অভিযোগে খাদ্য পরিদর্শককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবেন খাদ্য কর্মকর্তারা।'

জানা গেছে, গুদাম থেকে প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন চাল সরানো হয়েছে। সরিয়ে ফেলা চালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৯ মার্চ আমি রসুলপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যাই। এ সময় ৪ নং ভবন পরিদর্শনের সময় মজুদকৃত চালের পরিমাণ অনেক কম দেখতে পাই।'

তিনি বলেন, 'মজুদ চালের পরিমাণ ৪৩১ মেট্রিক টন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কম পাওয়া যায়। আমার সন্দেহ হলে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হই এখান থেকে অধিকাংশ চালের বস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।'

'গত ১২ মার্চ থেকে গুদামের হাজিরা খাতায় সই পাইনি। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। এ ঘটনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিখিত আকারে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। গুদামে মজুদ চালের পরিমাণে বড় ধরনের গরমিল পাওয়া গেছে। আজ খাদ্য গুদামের ৪ নং ভবনটি সিলগালা করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'গুদামের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ শফিউল আজমকে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago