দুদক তদন্ত

আদালতে প্রতি নিয়োগে ১০-২০ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন আনিসুল হক

আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মচারী নিয়োগে জনপ্রতি ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিতেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

তার সহযোগী ছিলেন সিটিজেন ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। তার মাধ্যমে আনিসুল হক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডা ও অন্যান্য দেশে অর্থপাচার করতেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে আজ সোমবার দুদক উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আনিসুল হক ও তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং কমিশন তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। কসবা, ত্রিশাল ও পূর্বাচলে নিজ নামে ৬ দশমিক ৮০ একর জমি কিনেছেন।'

'সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকে আনিসুল হকের ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার আছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার আমানত, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা,' বলেন আখতারুল ইসলাম।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের নামে ও বেনামে দেশে ও বিদেশে প্রচুর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন।'

দুদক কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম বলেন, 'গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল হকের সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিম জড়িত ছিলেন। তাছাড়া তারা তাদের অন্য আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মিলে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।'

'তারা বিদেশে প্রচুর অর্থ পাচার করেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে, যেগুলো নিয়ে দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করতে চায়,' যোগ করেন তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English

US halts new student visa interviews

The State Department prepares to expand social media vetting of foreign students.

8h ago