আব্দুর রাজ্জাক ও ফারুক খান ২ দিনের রিমান্ডে

আবদুর রাজ্জাক ও ফারুক খান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খানের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার পৃথক মামলায় তাদের পৃথক আদালতে হাজির করা হলে বিচারকরা এ আদেশ দেন।

গতরাতে ঢাকার ইস্কাটন থেকে আব্দুর রাজ্জাককে এবং আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা সেনানিবাস থেকে ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুর রাজ্জাককে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিপের সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালতে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রাজ্জাক আদালতে বলেন, তিনি মামলার সঙ্গে জড়িত নন। তাছাড়া তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তাই তিনি আদালতের কাছে বিচার চেয়েছেন।

রিমান্ডের প্রার্থনায়, আইও বলেছিলেন যে রাজ্জাক ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল এবং ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে পেতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

আদালত অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন খারিজ করে হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে রিমান্ডে পাঠান।

নিহত ব্যবসায়ী ওয়াদুদের শ্যালক আবদুর রহমান গত ২১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এদিকে, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খানকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার পল্টন এলাকায় বিএনপি কর্মী মকবুলকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড প্রার্থনায় তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাই ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

ফারুক খানকে হয়রানি করার জন্য মামলায় জড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে রিমান্ড আবেদন বাতিলসহ জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ।

শুনানির পর, ম্যাজিস্ট্রেট আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন খারিজ করে এবং ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুক খানকে রিমান্ডে পাঠান।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয়বাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আব্বাস আলী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago