অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত

তারেক রহমান। ফাইল ছবি সংগৃহীত

মানি লন্ডারিং মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

সেইসঙ্গে তারেকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা লিভ টু আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।

২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেককে ৭ বছরের সাজা দেন হাইকোর্ট।

২০১৩ সালে নিম্ন আদালত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস দেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

তারেক রহমান ২০০৭ সালের মার্চ মাসে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন এবং পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তিনি চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে যান এবং তখন থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

২০০৯ সালে দুর্নীতি দমনের করা মানি লন্ডারিং মামলায় তার বিরুদ্ধে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগ আনে।

আদালতে তারেক ও মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল ও শেখ মো. জাকির এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

8h ago